শ্লীলতাহানির অভিযোগে হেনস্তা, কাঁথিতে 'আত্মঘাতী' নবম শ্রেণির ছাত্র
প্রতিদিন | ২৬ জুলাই ২০২৫
রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: কিশোরীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাঝরাস্তায় হেনস্তা। পরদিন বাড়ি থেকেই উদ্ধার নবম শ্রেণির স্কুলছাত্রের দেহ। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। সূত্রের খবর, সুইসাইড নোটে কিছু করেনি বলেই দাবি করে ছাত্রটি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির পিছাবনী এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
অন্যান্য দিনের মতো বৃহস্পতিবার স্কুলে গিয়েছিল ওই ছাত্র। অভিযোগ, স্কুলের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর উদ্দেশে কুরুচিকর মন্তব্য করে সে। যদিও তার স্পষ্ট দাবি, সে ওই মেয়েটিকে চেনে না এবং কিছুই বলেনি। স্কুল থেকে ফেরার পথে বই আনতে বন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বেরোয়। অভিযোগ, সেই সময় স্থানীয় পিছাবনী বাজারে কিছু লোকজন তাকে আটকায়। মারধর করে। এমনকী তার পরিবারের সামনেই তাকে হেনস্তা করা হয় বলেও অভিযোগ। শুক্রবার সকালে বাড়ির দোতলা থেকে ওই ছাত্রের দেহ উদ্ধার করা হয়। গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলতে দেখা যায় তাকে। বাড়ি থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, মৃত্যুর আগে সুইসাইড নোটে সে লিখেছে, “বাবা আমি ভুল করিনি। ওই মেয়েটাকে আমি চিনি না। আমার জন্য তোমাকে অপমানিত হতে হল।”
ছাত্রের বাবা বলেন, “আমার ছেলে ওই মেয়েকে চিনত না। শুধু সন্দেহের বশে তাকে আটকে অপমান করা হয়। আমি ওর সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলাম, সবার সামনে ওকে মারধর করা হয়। রাতেই ও বলেছিল কিছু করেনি। শুক্রবার সকালে দেখি ঘরের দোতলায় গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে। আমার ছেলে অন্যায়ের শিকার।”
অন্যদিকে, ওই কিশোরীর বাবা বলেন, “আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। জানতে পেরে মেয়েকে নিয়ে সরে যাই। ছাত্রকে কে বা কারা ঘিরে ধরেছিল, সেটা আমার জানা নেই।” ঘটনার তদন্তে নেমেছে কাঁথি থানার পুলিশ। কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।