• বাড়ি থেকে পালিয়ে অপহরণের নাটক! নাসিক থেকে উদ্ধার আসানসোলের নাবালিকা পড়ুয়া
    প্রতিদিন | ২৬ জুলাই ২০২৫
  • শেখর চন্দ্র, আসানসোল: অপরহণ নয়, নিজে থেকেই বাড়ি থেকে পালিয়েছিল আসানসোলের সালানপুরের বেসরকারী স্কুলের দশম শ্রেণির পড়ুয়া! শুক্রবার রাতে মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করার পর এমনটাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    নাবালিকা পড়ুয়াকে উদ্ধার করার পর নাসিকের আদালতে তোলা হয়। বর্তমানে সেখানেই রয়েছে সে। তবে নাবালিকাকে দ্রুত রাজ্যে ফিরিয়ে আনার তৎপরতা শুরু করা হয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার রাতে নাসিকের একটি বস্তি থেকে ওই নাবালিকা পড়ুয়াকে উদ্ধার করা হয়। রাজ্যে ফিরিয়ে আনার পর তাকে আসানসোল শিশু সুরক্ষা কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হবে। এদিকে মেয়ের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে এই খবরে খুশি নাবালিকা পড়ুয়ার পরিবারের সদস্যরা।

    গত ১৯ জুলাই বাড়ি থেকে হঠাৎ উধাও হয়ে যায় ওই পড়ুয়া। পরে আসানসোল স্টেশনে গিয়ে ট্রেনে চাপে। সেখান থেকে প্রথমে গুজরাটে যায়। পরে সেখান থেকে মহারাষ্ট্র পৌঁছে যায়। মেয়ের কোনও খোঁজ না পেয়ে সালানপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবারের সদস্যরা। এরই মধ্যে ওই পড়ুয়া বাড়িতে ফোন করে জানায়, তাকে অপহরণ করা হয়েছে। এমনকী হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কলে কান্নাকাটি করে এবং ওড়না দিয়ে হাত বাঁধা অবস্থায় নিজেকে অপহৃত দেখানোর চেষ্টাও করে। পাশাপাশি মুক্তিপণ হিসাবে তিন লক্ষ টাকা দাবি করে। পুলিশ জানতে পেরেছে তাকে এই কাজ করতে সাহায্য করেছিল বিহারের বেশ কয়েকজন যুবক। মহারাষ্ট্রে গিয়ে তাঁদের রুমেই ওই পড়ুয়া ছিল কিনা, সেই বিষয়টিও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে নাবালিকাকে উদ্ধার করার সময় অন্য কোনও যুবকের খোঁজ পায়নি পুলিশ। কীভাবে ওই ছাত্রীটি মহারাষ্ট্রে পৌঁছে গেল এবং কেন এভাবে অপহরণের নাটক করল সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দশম শ্রেণির এই ছাত্রী সোশাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় ছিল। এরমাধ্যমেই বিভিন্ন বাইরের লোকজনের সঙ্গে তার যোগাযোগ তৈরি হয়েছিল। সেই ব্যক্তিদের সহযোগিতাতেই বাড়ি থেকে পালিয়েছিল কিনা, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 
  • Link to this news (প্রতিদিন)