মৃত মহিলার নাম বিজলি ঘোষ। বয়স ৮০ বছর। বৃদ্ধা ছেলের সঙ্গে একাই থাকতেন। স্বামী মৃত্যুঞ্জয় ঘোষ বছর আগে মারা গিয়েছেন। অভিযুক্ত ছেলের নাম সঞ্জয় ঘোষ। বয়স ৫০ বছর। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, সঞ্জয় মানসিক ভারসাম্যহীন। আগেও কয়েকবার মায়ের উপর অত্যাচার করেছে। কিছুদিন আগে মাথা ফাটিয়ে দেয় বলেও অভিযোগ। বহুবার পুলিশ এসে ছেলেটিকে সতর্ক করে গিয়েছে। কিন্তু লাভ হয়নি।
শুক্রবার সকাল থেকেই বৃষ্টি হয়েছে। সন্ধ্যায় থেকে এলাকা কার্যত নির্জন ছিল। রাত নাগাদ বিজলিদেবীর বাড়ি থেকে ধোঁয়া দেখতে পারেন। সকাল থেকে পচা গন্ধও পাচ্ছিলেন। বাড়ির সামনে এসে এলাকাবাসীরা দেখেন দরজা-জানলা বন্ধ। ধোঁয়া বেরচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা মহেশতলা থানায় ও বজবজ ফায়ার ব্রিগেডে খবর দেয়। পুলিশ ও ফায়ার ব্রিগেড দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় বৃদ্ধাকে বিছানায় পরে থাকতে দেখা যায়। ছেলেকে পাশের ঘরে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বৃদ্ধার। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “সকাল থেকে পচা গন্ধ বেরচ্ছিল। বৃষ্টির মধ্যে আমরা এখানে আসিনি। তবে ঘরের দরজা-জানলা সব সময় বন্ধ থাকত। বাড়িতে কাউকে ঢুকতে দিত না ওঁরা। ধোঁয়া দেখে পুলিশে ফোন করি। তারপর এই কাণ্ড।”
ইতিমধ্যেই বিজলিদেবীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ছেলেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মহেশতলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, মাকে জীবন্ত পুড়িয়ে খুন করেছে ছেলে। তবে খুন না কি, আত্মহত্যা তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। তদন্তে মহেশতলা থানার পুলিশ।