• স্থানান্তরিত হতে পারে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর, CS’কে চিঠি কমিশনের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৬ জুলাই ২০২৫
  • রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক - এর দফতরকে দ্রুত ‘স্বাধীন দফতর’ হিসেবে ঘোষণার নির্দেশের পর আরও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, কলকাতার স্ট্র্যান্ড রোডে অবস্থিত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর খুব শীঘ্রই নতুন ঠিকানায় স্থানান্তরিত হতে পারে। এই উদ্দেশ্যে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে নির্বাচন কমিশনের তরফে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হয়েছে।


    এই অবস্থায় দফতর স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় জল্পনা তুঙ্গে। শুধুমাত্র নতুন ভবনে অফিস বদলই নয়, এর মাধ্যমে সিইও-র দফতরকে রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক ও আর্থিক নিয়ন্ত্রণ থেকে পুরোপুরি আলাদা করতে চায় কমিশন। এভাবে এটিকে ‘স্বাধীন দফতর’ হিসেবে গড়ে তোলার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এবিষয়ে সিইও মনোজ আগরওয়াল জানিয়েছেন, বর্তমান দফতরে কর্মী সংখ্যা ও দৈনন্দিন কার্যকলাপ অনেক বেড়ে গিয়েছে। অফিসে নিয়মিত মানুষের যাতায়াত বাড়ছে। এর উপর রয়েছে পার্কিং-এর সমস্যা। ফলে একটি বড় পরিসরের এবং সুবিধাযুক্ত ভবনে অফিস স্থানান্তরের প্রয়োজনীয়তা তৈরি হয়েছে।

    কমিশন চাইছে, দফতরকে এমন ভবনে সরানো হোক, যা কেন্দ্রীয় সরকারের আওতায় থাকা কোনও সম্পত্তি বা সংস্থা পরিচালিত হবে। অর্থাৎ যাতে ভবিষ্যতে রাজ্য সরকারের কোনও প্রভাব না থাকে। নির্বাচন কমিশনের তরফে রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো চিঠিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, সিইও দফতর আর রাজ্যের অর্থ, স্বরাষ্ট্র কিংবা পার্বত্য উন্নয়ন দফতরের অধীনে থাকবে না। এই মুহূর্তে ওই দফতর রাজ্য প্রশাসনের একাধিক দফতরের প্রশাসনিক এবং আর্থিক নিয়ন্ত্রণাধীন এই ব্যবস্থাকে বাতিল করে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে কমিশন। পাশাপাশি, দফতরটিকে প্রশাসনিকভাবে স্বশাসিত করতে সিইও-র পাশাপাশি উপ মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক, অতিরিক্ত এবং যুগ্ম সিইও-র চারটি পদ পূরণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ভিত্তিতে সিইও-র দফতর একটি স্বতন্ত্র সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তার কার্যপরিচালনায় কোনওভাবেই রাজ্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ বা নির্ভর থাকা উচিত নয়।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)