• বাঙালির হেনস্তায় আতঙ্কে ভিন রাজ্যে কাজ করা গাজোলের ২০ হাজার শ্রমিক
    বর্তমান | ২৭ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: গাজোলের ২০ হাজারের বেশি বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিক বিজেপি শাসিত হরিয়ানা, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ সহ বিভিন্ন রাজ্যগুলিতে কাজ করতে গিয়েছেন। বাংলায় কথা বলায় হেনস্তার ঘটনার পর থেকে সেই শ্রমিকরাও সিঁটিয়ে রয়েছেন। স্থানীয় পরিবারগুলি উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছে। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে স্থানীয় বিজেপি সাংসদ এবং বিধায়ক একেবারেই চুপ রয়েছেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের। শনিবার পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য গাজোলে জরুরী সহায়তা কেন্দ্রের সূচনা করে এমনই দাবি করেছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন। হেনস্তা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ওই ক্যাম্প চলবে বলে জানান তিনি। সেখানে বাইরে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড সহ নথি দেখে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট দিয়ে দেওয়া হবে বলে পঞ্চায়েত সমিতি জানিয়েছে। 

    এব্যাপারে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বলেন, সব বিজেপির পরিকল্পনা। তাদের রাজ্যগুলিতে বাঙালিদের চরম হেনস্তা করা হচ্ছে। আমরা একাধিক ফোন পাচ্ছি। মুখ্যমন্ত্রী শ্রমিকদের পাশে রয়েছেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতেই সহায়তা ক্যাম্প করা হয়েছে। 

    সূচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের গাজোল ব্লক সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সদস্য দীনেশ টুডু। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার একশো দিনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলাকে বঞ্চনা করছে। পরিযায়ী শ্রমিক বাইরের রাজ্য কাজে যাচ্ছেন। সেখানে বাংলা বলার অপরাধে হেনস্তা করা হচ্ছে। অথচ উত্তর মালদহের সাংসদ এবং গাজোলের বিধায়ক চুপ। তাঁরা শুধু ভোটের সময় রাজনীতি করেন।

    এসব অভিযোগ মানতে চাননি গাজোলের বিধায়ক বিজেপির চিন্ময়দেব বর্মন। তিনি বলেন, গোটা দেশে তালিকা স্বচ্ছ হচ্ছে। সেটা পশ্চিমবঙ্গেও হবে। ২০২৬ সালে ভোট আছে। মানুষকে ভুল বোঝাতে তৃণমূল এগুলি করছে। সাংসদ এবং বিধায়ক সাধারণ মানুষকে সাহায্য করেন।

    এদিন গাজোলের সহায়তা ক্যাম্পে এসেছিলেন দেওতলার পরিযায়ী শ্রমিক মিজানুর হোসেন। আক্ষেপের সুরে বলেন, আট বছর ধরে ভিনরাজ্যে কাজ করি। দু’মাস গাজোলে আছি। কিছুদিন পর কাজে যেতে হবে। সামাজিক মাধ্যম এবং খবরে যা দেখছি, তাতে আমরা ভীত। এদিন প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে এসে ক্যাম্পে এসে সার্টিফিকেট নিয়েছি।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)