এবার আকাশ থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা-সান্দাকফু দর্শনের সুযোগ! তোড়জোড় শুরু
আজ তক | ২৭ জুলাই ২০২৫
Helicopter Tour To Kanchenjungha Sandakphu: পাহাড়ের উপর থেকে পাহাড় দর্শন। কেমন হয়? ধরুন কাঞ্চনজঙ্গা শৃঙ্গের উপর থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে পাখির চোখে দেখলেন, কিংবা সান্দাকফুর বরফসাদা উপত্যকার উপর পাক খেয়ে বেড়ালেন খানিক, ধাঁ করে নেমে এলেন মিরিক লেকের উপর কিংবা দার্জিলিং ম্যালে লোকজনের ভিড় দেখলেন আকাশ থেকে। এমন স্বপ্নের বন্দোবস্ত থাকলে জাস্ট জমে যেত। কিন্তু উপায় কি? এমন টা কি হওয়া সম্ভব! হ্যাঁ এখন এই স্বপ্ন, এটা সত্যি হতে চলেছে।
জিটিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই হেলিকপ্টারে দার্জিলিং পাহাড়ের দর্শনীয় স্থানগুলি ভ্রমণের সুযোগ মিলবে। সৌজন্যে রাজ্য সরকার এবং গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (GTA)। রাজ্য ও জিটিএ পাহাড়ে হেলিকপ্টার পরিষেবা চাল করতে হেলিপোর্ট তৈরির জন্য প্রস্তাব রয়েছে। পূর্ত দফতর হেলিপোর্ট তৈরির জন্য ডিটেল প্রোজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হয়ে যাবে।
সিকিমের পর্যটনে হেলিকপ্টার পরিষেবা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা নিয়েছে। বাগডোগরা থেকে সিকিম হেলিকপ্টার পরিষেবা যেমন পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়, তেমনই গ্যাংটক এবং পেলিং থেকে আকাশপথে সিকিম ঘুরিয়ে দেখানোর পরিষেবাও যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছে। পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, এক-দেড় মাস আগে থেকে হেলিকপ্টারের আসন বুকিং না থাকলে আকাশপথে সিকিম-দর্শনের সুযোগ মেলে না।
কী কী থাকবে?
হেলিপোর্টে একাধিক হেলিপ্যাড তৈরি করা হবে। সেজন্য সেখানে একাধিক ল্যান্ডিং ব্লক তৈরি করা হবে।পাশাপাশি এখানে হোটেল থেকে শুরু করে অন্যান্য পরিষেধাও থাকবে। ক্যাফেটেরিয়া ও বিনোদনের বন্দোবস্ত করা হবে।
সিকিমে হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু রয়েছে। এটা দারুণ জনপ্রিয়। অনেকেই শুধু এই হেলিকপ্টারে আকাশ ভ্রমণের জন্য সিকিম যান। শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে সিকিম হেলিকপ্টার পরিষেবা যেমন পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়, তেমনই গ্যাংটক এবং পেলিং থেকে আকাশপথে সিকিম ভ্রমণের রাইডও দারুণ আকর্ষণের। চাহিদা এতটাই, গেলেই সুযোগ মেলে না। এক-দেড় মাস আগে থেকে আসন বুকিং না করলে হেলিকপ্টারে ভ্রমণ সম্ভব নয়। একইরকমভাবে দার্জিলিংয়েও এই ভ্রমণ জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে আশাবাদী জিটিএ ও রাজ্য।
মিরিকে একটি হেলিপ্যাড রয়েছে। সুবাস ঘিসিংয়ের আমলে ১৯৯১ সালে সেটি তৈরি করা হয়েছিল। সেই সময় দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিলের প্রধান সুবাস ঘিসিংয়ের উদ্যোগে ওই হেলিপ্যাডটি তৈরি করা হয়েছিল। তারপর থেকে সেটি আর ব্যবহার করা হয়নি। ২০২১ সালে রাজ্য সরকার সমস্ত পার্বত্য অঞ্চলকে হেলিকপ্টার পরিষেবায় যুক্ত করার উদ্যোগ নেয়। ২০২২ সালে মিরিকের হেলিপ্যাড থেকে নতুন ভাবে তৈরি করা হয় সেখানে ৭ ডিসেম্বর ২০২২ এ হেলিকপ্টার নামিয়ে মহড়া হয়েছিল। তার পর আর বিষয়টি এগোয়নি। এবার ফের সেটি চালু করে কার্যকর করা হলে পর্যটনে জোয়ার আসবে বলে মনে করছে ট্যুরিজম সার্কিট।