'ভোটব্যাঙ্কের জন্য বাংলাদেশিদের প্রতি সহানুভূতিশীল মমতা', এবার আক্রমণ হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর
আজ তক | ২৭ জুলাই ২০২৫
তাঁদের রাজ্যে বাংলাদেশি বা অনুপ্রবেশকারীদের কোনও জায়গা নেই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সব বাংলাদেশিকে সেখান থেকে বিতাড়িত করা হবে। বললেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নায়াব সিং সাইনি। পশ্চিমবঙ্গের ম়ুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ভোটব্যাঙ্কের জন্য বাংলাদেশিদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
হরিয়ানার গুরুগ্রামে অবৈধভাবে বসবাসকারী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে সেই রাজ্যের বিজেপি পরিচালিত সরকার। শনিবার সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী সাইনি জানান, তাঁদের রাজ্যে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের কোনও স্থান নেই। কারণ তিনি দেশের নিরাপত্তা লঙ্ঘনকারীদের প্রতি সহানুভূতিশীল নন। তাঁর কথায়, 'হরিয়ানায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের কোনও স্থান নেই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের রাজ্য থেকে নির্বাসিত করা হচ্ছে।'
পুলিশের বয়ান
এর আগে গুরুগ্রাম পুলিশ জানিয়েছিল, অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করার অভিযান শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত আটজন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। তাদের শীঘ্রই নির্বাসিতও করা হবে।
মমতার অভিযোগ ও নায়াবের জবাব
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেছিলেন, বিজেপি শাসিত কিছু রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে যাওয়া বাঙালিদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। তাদের আটক করা হচ্ছে বা বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে। এই মন্তব্যের সমালোচনা করেন নায়াব সিং সাইনি। তিনি বলেন, 'দেশের নিরাপত্তা লঙ্ঘনকারীদের প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহানুভূতি কেবল দুর্ভাগ্যজনকই নয়, জাতীয় স্বার্থেরও পরিপন্থী। তুষ্টি এবং ভোটব্যাঙ্কারে রাজনীতি করছেন তিনি। তাতে দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে আপোস করা হচ্ছে। তিনি এতটা নিচে নামতে পারেন, ভাবিনি।'
তিনি আরও যোগ করেছেন, 'ভারতের ঐক্য, সার্বভৌমত্ব এবং সংবিধানের বিরুদ্ধে কোনও আপোস হরিয়ানা বা দেশের কোথাও গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের জন্য, জাতির স্বার্থ সর্বদা আগে।'
বাঙালিদের উপর আক্রমণের অভিযোগ মমতার
গত কয়েকদিন ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করছেন, ওড়িশা, অসম, গুজরাত, দিল্লির মতো রাজ্যে বাংলাভাষী মানুষের উপর আক্রমণ নেমে আসছে। তাদের আটক করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে একটি অনুষ্ঠানে মমতা বলেন, 'বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। শিশু প্রথম এই ভাষাতেই মা বলে ডাকে। এই ভাষাকে সম্মান জানানো উচিত। কিন্তু বাংলা ভাষার উপর সন্ত্রাস চলছে। বাংলা ভাষায় যাঁরা কথা বলেন, তাঁদের উপর অত্যাচার চলছে।' ভাষা সন্ত্রাস বন্ধ না করলে তার পরিণতিও মারাত্মক হবে বলেও দাবি করেন তিনি।