রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দপ্তরকে অন্যত্র সরানো হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন থেকে এমনটাই চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে। বর্তমানে দপ্তরটি রয়েছে কলকাতার স্ট্র্যান্ড রোডের বামার-লরি অফিসে। দপ্তরের এক আধিকারিক বলেছেন, দপ্তরে এখন জায়গার তুলনায় লোকসংখ্যা বেড়েছে। গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা নিয়ে খুব সমস্যা হচ্ছে। এই কারণে অনেকদিন থেকেই দপ্তরটিকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা চলছে। এবারে সেকারণেই দপ্তরকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
কিছুদিন আগেই মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দপ্তরকে স্বাধীন দপ্তর বলে ঘোষণা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন থেকে বলা হয়েছে, দপ্তরটিকে এমন কোনো জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে যেখানে কোনো কেন্দ্রীয় দপ্তর রয়েছে। শনিবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল বলেন, কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দপ্তরটিকে পূজোর আগে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এর জন্য মুখ্যসচিবকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আগত ভোটের জন্য বিএলএ আধিকারিকদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে গিয়েছে। শনিবার কলকাতাতেও এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। রবিবারে প্রশিক্ষণ নেওয়া হবে মেদিনীপুরে। এরপরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় চলবে এই প্রশিক্ষণ।
১৯৫০ এর জনপ্রতিনিধি আইন অনুযায়ী মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তর কোনো রাজ্য অর্থ ও স্বরাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে থাকতে পারে না। দপ্তরটি হয় একেবারেই স্বাধীন। দপ্তরটি নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে কাজ করবে। এর ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দপ্তরটিকে বর্তমানে রাজ্যের অর্থ, স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য অঞ্চল বিষয়ক দপ্তরের অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ থেকে বার করে আনতে হবে। তাই সিইও দপ্তরকে অন্যত্র সরিয়ে আনতে হবে। পাশাপাশি দপ্তরটিকে রাজ্যের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করতে হবে এবং পৃথক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে বলে নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের।
কমিশন আরও বলেছে, বর্তমান অবস্থায় দপ্তরটির পর্যাপ্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নেই। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগামী আগস্টে ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধনের কাজ হতে পারে। এই কাজগুলিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন বিএলও। তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য আলাদা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করার কথাও চলছে। সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল বলেছেন, আমরা বিএলও দের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। এসআইআর তো এর আগেও হয়েছে। সিলেবাসে একবার তো নিতেই হবে। তবে এসআইআর এর জন্য যে প্রশিক্ষণ তা একেবারেই নয়।