নিজস্ব সংবাদদাতা, রামপুরহাট: বাবার পূজিত মন্দিরের নব কলেবরে উদ্বোধন করবেন মেয়ে। শ্রাবণের সোমবার নিজের জন্মভিটার সেই মন্দিরের দ্বারোদঘাটন হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। এ উপলক্ষ্যে রামপুরহাটের চাকাইপুরে সাজো সাজো রব।
২০০ বছরের বেশি প্রাচীন গ্রামের দুর্গা মন্দির। এই মন্দিরে দীর্ঘদিন ধরে পুজো করে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রীর বাবা প্রমিলেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। আজও সেই ঐতিহ্য ধরে রেখেছে চাকাইপুর গ্রাম। ‘বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারে’ সেই বাড়ির পাশ দিয়ে কয়েক পা হেঁটেই কোমরফ্যালা পুকুর ঘেঁষে গ্রামের মন্দিরতলা পাড়া। চাকাইপুর সর্বজনীন মন্দির চত্বর। দুর্গামন্দির নাম হলেও একই তল্লাটে প্রতিবছর হয় দুর্গাপুজো, কালীপুজো, সরস্বতী পুজো-সহ একাধিক দেবদেবীর আরাধনা। নিত্য পূজিতা হন পঞ্চদেবী। এই মন্দিরে গ্রামবাসীদের আরাধ্য দেবদেবীর পুজো হত প্রমিলেশ্বর ঠাকুরমশায়ের হাত দিয়ে। বাবার পৌরহিত্যে চলা সেই মন্দিরের নবকলেবরে দ্বারোদঘাটন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। গ্রামবাসীদের সাহায্য, ভক্তদের দানে ৫৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি হওয়া এই মন্দিরে উদ্বোধনের পরেই অধিষ্ঠিত হবে দুর্গার শিলামূর্তি।
২১ জুলাইয়ের পরদিন মন্দির উন্নয়ন কমিটির চার সদস্য মুখ্যমন্ত্রীর বউদি পম্পা মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে কালীঘাটে যান। তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয় মন্দিরের নব কলেবরে উদ্বোধনে অংশ নিতে। মন্দির কমিটির সদস্যদের কথায়, বাবার হাতে পূজিত সেই দুর্গা মন্দিরের নবকলেবরের উদ্বোধন মেয়ে করুক। নিজের জন্মভিটে, নিজের গ্রামের কথা শুনে তিনি আশ্বাস দেন, যেতে না পারলেও ভার্চুয়ালি উদ্বোধনে অংশগ্রহণ করবেন।
মন্দিরের রঙ শেষ। আশপাশের এলাকা পরিষ্কার, আলো লাগানো থেকে শুরু করে সবকিছুতেই ব্যস্ত স্থানীয়রা। জেলা প্রশাসনের তরফে মন্দির উদ্বোধনের তালিকায় দুর্গা মন্দিরের নাম মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠিয়েছে। গ্রামবাসীদের আশা হয়ত বাবার টানে, নিজের জন্মভিটায় চলেও আসতে পারেন মেয়ে। মন্দির কমিটির সম্পাদক সুদীপ সাহা বলেন, “এই মন্দির শুধু একটা ধর্মস্থান নয়, আমাদের আবেগ, আমাদের ইতিহাস। মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে দিদির শৈশব স্মৃতিও।” কুসুম্বা পঞ্চায়েতের প্রধান তোতা শেখ বলেন, “মন্দির নির্মাণে বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল ব্লক সভাপতি নিহার মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা সর্বতোভাবে সহযোগিতা করেছি। উদ্বোধনের দিন বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।”