• ফুটপাতের ভরঘুরেদের সরাতে ফের অভিযানে নামছে কলকাতা পুরসভা, অগস্ট থেকে সূচনার কথা জানিয়ে চিঠি পুলিশকে
    আনন্দবাজার | ২৭ জুলাই ২০২৫
  • কলকাতার রাস্তা ও যাত্রী প্রতীক্ষালয়গুলি ভবঘুরে ও ফুটপাতবাসীদের দখলমুক্ত করতে ফের অভিযানে নামছে কলকাতা পুরসভা। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, অগস্ট মাসে অন্তত তিন দফায় এই অভিযান চালানো হবে। ইতিমধ্যেই ৩, ১৩ ও ২৩ অগস্ট অভিযান চালানোর জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে এবং কলকাতা পুলিশকে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। আগামী অভিযানে ভবঘুরেদের শনাক্ত করে তাঁদের পুনর্বাসনের জন্য নাইট শেল্টারে পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হবে। তবে কেউ যেতে না চাইলে বা বাধা দিলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। শহরের সামগ্রিক সৌন্দর্যায়নের স্বার্থে পুরসভা ও পুলিশের এই সম্মিলিত উদ্যোগ কতটা কার্যকর হয়, সে দিকেই নজর সকলের। এ বছর সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে দুর্গাপুজো, তাই শহর কলকাতাকে এখন থেকে পরিচ্ছন্ন রাখার কাজে গতি আনতে চাইছে কলকাতা পুরসভা।

    পুরসভার এক আধিকারিক বলেছেন, “শহরের বিভিন্ন যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে ফুটপাতবাসীদের বসবাস জনসাধারণের অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বার শহরের সর্বত্র অভিযান চালিয়ে জায়গাগুলি পরিষ্কার করা হবে।” পুরসভার কর্তাদের একাংশের মতে, উল্টোডাঙা, মৌলালি, মল্লিকবাজার-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দেখা গিয়েছে, বাস শেল্টার, ফুটপাত কিংবা ব্রিজের নীচে ভিক্ষুক ও ভবঘুরেরা ত্রিপল খাটিয়ে, জিনিসপত্র সাজিয়ে সংসার পাতছেন। ফলে শহরের সৌন্দর্য যেমন ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, তেমনই সাধারণ পথচলতি যাত্রীরা সমস্যায় পড়ছেন। এমনই সব অভিযোগের সুরাহা করতেই অগস্ট মাস জুড়ে তিন দফায় অভিযানের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

    এর আগেও শহরের চারটি জায়গায়, মল্লিকবাজার থেকে বালিগঞ্জ ফাঁড়ি, গড়িয়াহাট থেকে হাজরা মোড়, গোপালনগর, পার্ক সার্কাস সাত মাথার মোড় থেকে বেকবাগান— অভিযান চালানো হয়েছিল। সেই অভিযানে কিছুটা সাফল্য মিললেও শহরের ফুটপাত থেকে ভবঘুরেদের পুরোপুরি সরানো যায়নি। পুরসভার এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, “অভিযানের দিন অনেক ক্ষেত্রেই গাড়ির অভাবে সকলকে একসঙ্গে নিয়ে যাওয়া যায়নি। এ বার আগেভাগেই তার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।”

    বছর কয়েক আগে ভবঘুরেদের সরাতে গিয়ে কলকাতা পুরসভায় লোহালক্কড় ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের রাতে শহরের ফুটপাত দখল করে থাকার কথা জেনেছিল। সে বার খোদ রাস্তায় নেমে এমন সব মানুষের রাতের ফুটপাত দখল করে থাকার কথা জেনেছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেই সময় তাঁর উদ্যোগেও ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উদ্যোগী হয়েছিল পুরসভা। কিন্তু এ বার শারদোৎসবের মাস দুয়েক বাকি থাকতেই ফের ফুটপাত পরিষ্কার করতে কাজ শুরু করা হচ্ছে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)