মালদহের পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রী ও শিশুপুত্রকেও মারধর দিল্লি পুলিশের! ‘কোথায় নিয়ে যাচ্ছে দেশকে?’ প্রশ্ন তুললেন মমতা
আনন্দবাজার | ২৭ জুলাই ২০২৫
পশ্চিমবঙ্গ থেকে দিল্লিতে কাজের সন্ধানে যাওয়া এক পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রী এবং শিশুপুত্রকে মারধর করার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। রবিবার বিকেলে সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্র এবং দিল্লির শাসকদল বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি লিখেছেন, ভাষা সন্ত্রাসে একটি শিশুরও পরিত্রাণ নেই।
মুখ্যমন্ত্রীর পোস্ট করা ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, এক যুবক তাঁর শিশুপুত্রের গায়ে কিছু আঘাতের চিহ্ন দেখিয়ে বলছেন, “দেখো আমার ছেলেকে মেরে কী করেছে। পুলিশ মেরে কপাল ফাটিয়ে দিয়েছে।” তাঁদের প্রয়োজনীয় সমস্ত কিছু ফেলে দেওয়া হয়েছে বলেও ভিডিয়োয় অভিযোগ করতে শোনা যাচ্ছে তাঁকে। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে ওই যুবকের স্ত্রীকেও। ওই যুবক স্ত্রীকে দেখিয়ে বলছেন, “একেও খুব মেরেছে।” (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)
তবে এই ভিডিয়ো পোস্ট করে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, “সাংঘাতিক সন্ত্রাস। দেখুন, দিল্লি পুলিশ মালদার চাঁচলের এক পরিযায়ী পরিবারের এক শিশু ও মা-কে কী নিষ্ঠুর ভাবে মেরেছে!” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “দেখুন, বাঙালিদের বিরুদ্ধে বিজেপির ভাষা সন্ত্রাসে একটি শিশুরও পরিত্রাণ নেই!” মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, “দেশকে এরা কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?”
ভিন্রাজ্যে কাজে গিয়ে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসরে নেমেছে তৃণমূল। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ নিয়ে বার বার সরব হয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন তিনি। অভিযোগ, ওড়িশা, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের মতো বিজেপিশাসিত রাজ্যে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক হওয়া বাংলাভাষী শ্রমিকেরা তাঁদের আধার-ভোটার কার্ডের মতো নথি দেখিয়েও ছাড় পাচ্ছেন না! এই পরিস্থিতিতে ‘পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট’ (পিসিসি) দেখাতে পারলে তবেই মিলছে রেহাই। নয়তো আটক করা হচ্ছে। দিল্লি, ওড়িশায় থাকা বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থার বিষয়টি ইতিমধ্যেই গড়িয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট পর্যন্ত। এই পরিস্থিতিতে রবিবার থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে ‘ভাষা আন্দোলনে’ নেমেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। সোমবার বীরভূমে নানুর দিবসের কর্মসূচিতে যোগ দেবেন মমতা। করবেন পদযাত্রাও। রবিবার বিকেলেই সড়কপথে বীরভূমের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।