আগামী বছর, অর্থাৎ ২০২৬ সালের আইসিএসই এবং আইএসসি পরীক্ষায় ৪০ শতাংশ থাকবে ‘ক্রিটিকাল থিঙ্কিং’ বা চিন্তনমূলক প্রশ্ন। বর্তমানে সিআইএসসিই বোর্ড দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির প্রতিটি বিষয়ের পৃথক মডেল প্রশ্ন প্রকাশ করছে। সেই প্রশ্নগুলি বোর্ডের ওয়েবসাইটে ‘কেরিয়ার’ বিভাগে পাওয়া যাবে। জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে অগস্টের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই ওই মডেল প্রশ্ন সিআইএসসিই বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। আইসিএসই এবং আইএসসি-তে চলতি বছর থেকে বেশ কিছু নতুন বিষয় চালু হয়েছে। সেই বিষয়গুলির মডেল প্রশ্নও থাকবে ওয়েবসাইটে।
বিভিন্ন স্কুলের অধ্যক্ষেরা জানাচ্ছেন, জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে সমস্ত শ্রেণির প্রশ্নপত্র তৈরি করার কথা ইতিমধ্যেই বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, চিন্তনমূলক প্রশ্নের উপরে জোর দিতে হবে। তাই আগামী বছর আইসিএসই এবং আইএসসি-তে ৪০ শতাংশ প্রশ্ন এমন ভাবে আসবে, যার উত্তর পড়ুয়ারা মুখস্থ করে লিখতে পারবে না। বিষয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকলে তবেই সেই প্রশ্নের উত্তর লেখা যাবে। উত্তর এমন ভাবে লিখতে হবে, যেখানে পরীক্ষার্থীদের নিজস্ব ভাবনা প্রতিফলিত হয়।
অধ্যক্ষেরা জানাচ্ছেন, খুব ভাল সময়ে এই মডেল প্রশ্ন প্রকাশ করল বোর্ড। কারণ, অগস্ট অথবা সেপ্টেম্বরে স্কুলগুলিতে হবে ষাণ্মাসিক পরীক্ষা। দশম ও দ্বাদশের ষাণ্মাসিক পরীক্ষাতেও এই ধরনের মডেল প্রশ্ন অনুসরণ করে প্রশ্নপত্র তৈরি করতে পারবেন শিক্ষকেরা। এতে পড়ুয়াদের বোর্ডের পরীক্ষার প্রস্তুতির ক্ষেত্রেও অনেক সুবিধা হবে।
অধ্যক্ষদের মতে, এ বছর আইসিএসই এবং আইএসসি-তে মডার্ন ইংলিশ, ইলেক্টিভ ইংলিশ, ফলিত গণিত-সহ বেশ কিছু বিষয় নতুন চালু হয়েছে। সেই বিষয়গুলির প্রশ্নের ধরন নিয়ে শিক্ষকদেরও খুব স্বচ্ছ ধারণা নেই। তাই সেগুলির মডেল প্রশ্ন থাকলে সেই অনুযায়ী প্রশ্নপত্র তৈরি করতে পারবেন শিক্ষকেরা।
তবে, ৪০ শতাংশ চিন্তনমূলক প্রশ্ন থাকলেও পড়ুয়াদের অযথাআতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলেও জানাচ্ছেন শিক্ষকেরা। মডেল প্রশ্নে এমন ধরনের প্রশ্নও থাকবে। শিক্ষকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ২০২৬ সালের পরের বছরগুলিতে চিন্তনমূলক প্রশ্ন আরও বাড়বে। কী ভাবে এমন প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে, তার জন্য প্রয়োজনহলে শিক্ষকেরা আলাদা ক্লাস নেবেন বলেও জানিয়েছেন অধ্যক্ষদের একাংশ।