গোবিন্দভোগসহ অন্যান্য সুগন্ধিচাল রপ্তানির ক্ষেত্রে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে অনুমতি পেতে বেগ পেতে হচ্ছে রাজ্যকে। শুক্রবার ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স আয়োজিত এক সভায় কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এই বিষয়টি উত্থাপন করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, বাংলাকে নিয়ে মোদী সরকারের এই অবহেলা বাংলা সহজভাবে নেবে না। একপ্রকার বাংলাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
এদিন সভায় তিনি বলেন, ‘রাজ্যে জিআই তকমা প্রাপ্ত সুগন্ধি গোবিন্দভোগ চাল বিপুল পরিমাণে উৎপাদিত হয়। তাই এই চাল রপ্তানির ব্যবস্থা করতে চাই। কিন্তু একাধিকবার কেন্দ্রকে এই প্রসঙ্গে চিঠি লিখে অনুমতি চাওয়া হলেও কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কোনও অনুমতি মেলেনি। মোদী সরকারের এই আচরণ বিমাতৃসুলভ।’ শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় আরও জানান, পশ্চিমবঙ্গ চাল উৎপাদনে দেশে অনেক এগিয়ে। কিন্তু সুন্দরবন এলাকা নোনাজলযুক্ত হওয়ায় এটি চাল উৎপাদনের জন্য উপযোগী নয়। তা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ‘নোনা স্বর্ণ’ প্রকল্পের আওতায় নোনাজলের জায়গায় ছয় রকমের চাল চাষ করা হচ্ছে। কৃষিতে ব্যবহৃত যন্ত্রের দিকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কৃষিযন্ত্র কেনার ক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৮০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে রাজ্য। কৃষি যন্ত্র ভাড়া দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এর জন্য ২৫০০টি কেন্দ্রও খোলা হয়েছে।
এই সভায় উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গল রাইস মিলের জেনারেল সেক্রেটারি জয় কুমার মারতি, ওয়েস্ট বেঙ্গল রাইস মিল ওনার্স এসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি মনোজ কে ফোগলা, আইআইটি খড়্গপুরের অধ্যাপক দিলীপকুমার সোয়াইন, অধ্যাপক বিশ্বজিৎ মন্ডল প্রমুখ।