বোলপুরে মমতা, ‘দিদি’র পছন্দের চপ-মুড়ি নিয়ে দেখা করতে গেলেন অনুব্রত
প্রতিদিন | ২৮ জুলাই ২০২৫
দেব গোস্বামী, বোলপুর: বাংলার বাইরে আজ বাংলা ভাষা ও বাঙালির বিপন্নতার ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। কোথাও বাংলায় কথা বলার জন্য বাংলাদেশি সন্দেহে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রেখে অত্যাচারের অভিযোগ, কোথাও আবার বাংলাদেশে পুশব্যাকের চেষ্টা। এত অভিযোগ পেয়ে স্বভাবতই ক্ষুব্ধ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনিয়ে বড়সড় আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তিনি। বাঙালি অস্মিতা রক্ষায় বীরভূম থেকে নতুন করে শুরু করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার সন্ধ্যায় তিনি বোলপুরে পৌঁছে গিয়েছেন। সূত্রের খবর, ‘দিদি’র সঙ্গে দেখা করতে তাঁর প্রিয় চপ-মুড়ি নিয়ে হাজির হয়েছেন জেলায় দলের কোর কমিটির অন্যতম সদস্য তথা দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। দুজনের মধ্যে আধঘণ্টা মতো কথাও হয়েছে। তবে কী আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি অনুব্রত।
একুশের মঞ্চ থেকেই তৃণমূল নেত্রী ঘোষণা করেছিলেন, ২৭ জুলাই থেকে ‘ভাষা আন্দোলন’ শুরু হবে। বীরভূমে এই আন্দোলনের সূচনায় থাকবেন তিনি নিজে। সেইমতো রবিবার সন্ধ্যা ঠিক সাড়ে ৭টায় বোলপুরে পৌঁছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি রিসর্ট রাঙাবিতানে ঢোকার রাস্তায়, শ্রীনিকেতন রোডের উপর দলনেত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীর। মমতা কনভয় থেকে দেখতে পান অনুব্রতকে। রাঙাবিতানে পৌঁছনোর পর কেষ্টকে ফোন করেন তিনি। জানান, রাঙাবিতানে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে।
‘দিদি’র ফোন পেয়ে আর দেরি করেননি অনুব্রত মণ্ডল। রাত আটটা নাগাদ নেত্রীর পছন্দের চপ-মুড়ি নিয়ে রাঙাবিতান পৌঁছে যান। সেখানে মমতার সঙ্গে তাঁর প্রায় আধঘন্টা কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে কী বিষয়ে কথা, তা নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি অনুব্রত মণ্ডল। তবে সূত্রের খবর, এদিন নানুরে ফিরহাদ হাকিম, মলয় ঘটকদের তত্বাবধানে সভা কেমন হল, স্থানীয় নেতৃত্বের কাছে সেই খোঁজখবর নিয়েছেন মমতা।