শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: পরিবারের অমতে পছন্দের রূপান্তরিত নারীকে বিয়ে করার জের। সদ্য বিবাহিত দম্পতি বাড়ি ফিরেই চরম অত্য়াচারের শিকার। বধূরে রড দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। পরিকল্পনামাফিক বধূর স্বামীকে পাঠানো হয়েছে নেশামুক্তি ক্ষেত্রে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ শহরের দেবীনগরে। বিষয়টা জানামাত্রই ছুটে যান রূপান্তরকামী সংগঠনের নেত্রীরা। আইনি লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার নাম পায়েল বিশ্বাস। তিনি রূপান্তরিত নারী। সঞ্জু দত্ত নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা মানতে পারেনি পরিবার। তা সত্ত্বেও বিয়ে করে ওই যুগল। এখানেই সমস্যা চরম আকার নেয়। নবদম্পতি বাড়ি যেতেই বেধড়ক মারধর করা হয় পায়েলকে। তাঁর স্বামীকে জোর করে নেশামুক্তি কেন্দ্রের হোমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তরুণী। খবর পেয়েই বধূকে দেখতে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পৌঁছন রপান্তকামী সংগঠনের নেত্রী তথা ইসলামপুর মহকুমার বিচার বিভাগীয় আদালতের প্যানেল বিচারক জয়িতা মণ্ডল।
নির্যাতিতা বলেন, “আমি ট্রান্স মহিলা। ছেলে থেকে মেয়ে হয়েছি। স্বামী সঞ্জু দত্তের সঙ্গে দেবীনগরেরর শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছতেই লোহার রড দিয়ে প্রচণ্ডভাবে মারধর করা হয়। স্বামীকে জোর করে নেশামুক্তি কেন্দ্রের হোমে পাঠিয়ে দিয়েছে।” বধূর মা রিনা বিশ্বাস বলেন, “আমার মেয়ে ভালোবেসে ২৪ জুলাই বিয়ে করেছিল। তিনদিন পর শ্বশুরবাড়ি গেলে সকলে মিলে প্রচণ্ড মারধর করে। রায়গঞ্জ থানায় অভিযোগ জানাব।” রুপান্তরকামী সংগঠনের নেত্রী জয়িতা মণ্ডল বলেন, “রুপান্তরকামী আইনে স্বীকৃতি আছে। তা সত্বেও অত্যাচারে অভিযুক্তদের যথোপযুক্ত শাস্তির দাবি করছি। রায়গঞ্জ থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। আইনি লড়াই লড়ব।”