অল ইন্ডিয়া হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলন চাঁচলে
বর্তমান | ২৮ জুলাই ২০২৫
উজির আলি, চাঁচল: রাজ্যজুড়ে আড়াই লক্ষ গ্রামীণ চিকিৎসক এক ছাদের তলায় এসেছেন। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ও দুর্গম এলাকায় কম খরচে সাধারণ মানুষের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন এই চিকিৎসকেরা। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে গ্রামীণ চিকিৎসকদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারের এই উদ্যোগে খুশি গ্রামীণ চিকিৎসকরা নিজেদের স্বীকৃতি ও স্থায়ী কর্মসংস্থানের দাবিও তুলেছেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার মালদহের চাঁচল ২ ব্লক অল ইন্ডিয়া হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের তৃতীয় মহাসম্মেলন হল। মালতীপুরের কমিউনিটি হলে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তাজমুল হোসেন, মালতীপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি, সংগঠনের রাজ্য কমিটির প্রধান উপদেষ্টা মনোজ চক্রবর্তী, মালদহ জেলা কমিটির সম্পাদক পিকু ঝা, জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুল হাই প্রমুখ।
সম্মেলনের শুরুতে এলাকার প্রয়াত গ্রামীণ চিকিৎসকদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর সাংগঠনিক দিক, চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্য সচেতনতা ও তাদের পেশাগত উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
সংগঠনের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে গ্রামীণ চিকিৎসকরা রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কম খরচে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে আসছেন। এমনকী করোনা কালেও তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। কিন্তু সরকারি স্বীকৃতি ও অর্থের অভাবে তাঁরা সমস্যায় পড়ছেন বলে দাবি। চাঁচল ২ ব্লক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ দুলাল বলেন, আমাদের ব্লকে প্রায় চারশো গ্রামীণ চিকিৎসক এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। রাজ্য সরকার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করায় আমরা কৃতজ্ঞ। কিন্তু আমাদের সবচেয়ে বড় দাবি স্থায়ী কর্মসংস্থান।
কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ বলেন, অনেকে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। আমাদের সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত করলে সেই সমস্যার সমাধান হবে। সম্পাদক আব্দুর রাকিব বলেন, আমাদের এতদিন কেউ গুরুত্ব দেয়নি। রাজ্য সরকার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। আমরা চাই, এভাবেই সরকার আমাদের পাশে থাকুক ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করুক। সংগঠনের রাজ্য কমিটির প্রধান উপদেষ্টা মনোজ চক্রবর্তী বলেন, রাজ্যের প্রায় আড়াই লক্ষ গ্রামীণ চিকিৎসককে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আমরা বহুদিন ধরেই স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে দাবি জানাচ্ছি, যাতে গ্রামীণ চিকিৎসকদের মান নির্ণয় ও স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এই চিকিৎসকরা কম খরচে সাধারণ মানুষের ঘরের দরজায় পৌঁছে চিকিৎসা পরিষেবা দেন।
এপ্রসঙ্গে মালতীপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, এতদিন কোনও সরকার গ্রামীণ চিকিৎসকদের কথা ভাবেনি। আমাদের সরকার তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। ভবিষ্যতে কর্মসংস্থান নিয়েও ভাবনাচিন্তা করবে। নিজস্ব চিত্র