• প্রশিক্ষণ ও স্বীকৃতির দাবি নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুরে গ্রামীণ চিকিত্সকদের ১৬তম বার্ষিক সম্মেলন
    বর্তমান | ২৮ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: গ্ৰামীণ চিকিৎসক বোর্ড গঠন, প্রশিক্ষণ ও স্বীকৃতি দেওয়া সহ বিভিন্ন দাবিতে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ও ২ ব্লকের গ্রামীণ চিকিৎসকদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল ইনফরমাল হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের ১৬ তম বার্ষিক সম্মেলন। রবিবার দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে তিন শতাধিক গ্রামীণ চিকিৎসক ছিলেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন এবং তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উত্তরবঙ্গ গ্রামীণ চিকিৎসক যৌথমঞ্চের কনভেনার প্রণবকুমার দাস, সংগঠনের জেলা চেয়ারম্যান গোলাম জিলানী মিয়াঁ, সভাপতি ডিএন মণ্ডল, সম্পাদক মহম্মদ মোশারফ হোসেন, জেলা অর্গানাইজিং সম্পাদক বারকাত আলি, হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ও ২ ব্লকের সভাপতি হাসান আলি ও মজিবুর রহমান সহ অন্যরা। ১৯৮৪ সাল থেকে গ্ৰামীণ চিকিৎসকরা সংগঠন করে আসছেন। বর্তমান রাজ্য সরকার ২০১৫ সালের ৬ নভেম্বর ইনফরমাল হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডার নামটি দেয়। ২০১৭ সাল থেকে ব্লক প্রতি ৫০ জন করে গ্রামীণ চিকিৎসককে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে সরকার। তবে, প্রশিক্ষণ শেষে শংসাপত্র না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্রামীণ চিকিৎসকরা। সম্পাদক বলেন,গ্রামীণ চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনও শংসাপত্র দেওয়া হয় না। ফলে গ্রামে চিকিৎসা করতে গিয়ে সমস্যা হয়। শংসাপত্র প্রদান, গ্রামীণ চিকিৎসক বোর্ড গঠন, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসকদের সহায়ক হিসেবে গ্রামীণ চিকিৎসকদের কাজের দাবি করছি। 

    জেলা অর্গানাইজিং সম্পাদক বারকাত আলি বলেন, আগের সরকার গ্রামীণ চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ বা স্বীকৃতি দিতে উদ্যোগী হয়নি। এই সরকার প্রশিক্ষণ দিলেও স্বীকৃতি দেবে বলে ঘোষণা করেছে। আমরা চাই, দ্রুত প্রশিক্ষণ দিয়ে গ্রামীণ চিকিৎসকদের স্বীকৃতি দেওয়া হোক। তাজমুল বলেন, গ্রামীণ মানুষের চিকিৎসায় গ্ৰামীণ চিকিৎসকদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী। ধীরে ধীরে সকলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। দাবি মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হবে। সেই সঙ্গে মন্ত্রী গ্রামীণ চিকিৎসকদের মনে করিয়ে দেন, গুরুতর অসুস্থকে দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানো প্রয়োজন। 

     রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেনের সঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ও ২ ব্লকের  গ্রামীণ চিকিৎসকরা। নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)