• ব্যাঙ্কের ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা
    বর্তমান | ২৮ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নামী বেসরকারি ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইট তৈরি করে প্রতারণার অভিযোগ। গার্ডেনরিচের এক যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে খাস কলকাতা থেকে চার তরুণকে গ্রেপ্তার করল পুলিস। পুলিস জানতে পেরেছে, প্রতারণার মাধ্যমে পাওয়া টাকা দিয়ে তারা বিক্রির জন্য ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্র কিনত। শুধু কলকাতা নয়, এই গ্যাং কুখ্যাত জামতাড়াতেও জাল বিছিয়েছে বলে খবর। 

    পুলিস জানিয়েছে, জুলাই মাসের গোড়ায় সন্দীপকুমার আগরওয়াল নামের এক ব্যক্তি গার্ডেনরিচ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ, বেসরকারি ব্যাঙ্কের নামে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে। সেখানে একটি কাস্টমার কেয়ার নম্বরও দেওয়া রয়েছে। অভিযোগকারী সেই নম্বরে ফোন করলে অপরপ্রান্তের ব্যক্তি নিজেকে ব্রাঞ্চ ম্যানেজার বলে পরিচয় দেয়। পাশাপাশি একটি লিঙ্ক পাঠিয়ে বলা হয়েছিল, সেখানে ক্লিক করে অভিযোগ জানাতে। অভিযোগ, লিঙ্কে ক্লিক করতেই ফোনের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় প্রতারকদের হাতে। অন্য একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে একাধিক লেনদেনের মাধ্যমে ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৪১০ টাকা গায়েব হয়ে যায়।

    পুলিস তদন্তে নেমে জানতে পারে, প্রতারকরা ওই টাকায় ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী কিনে শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করত। শুধু কলকাতা নয়, ঝাড়খণ্ডের কুখ্যাত জামতাড়াতেও জাল বিছিয়েছিল তারা। 

    বন্দর ডিভিশনের অ্যাডিশনাল ডেপুটি কমিশনার মেহতাব আলম ও গার্ডেনরিচ থানার অ্যাডিশনাল ওসি নাদিম আখতারের নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল তৈরি করা হয়। শনিবার রাতে তল্লাশি চালায় পুলিস। লেকটাউন থানা এলাকা থেকে মহম্মদ আরিফ খান (২৬), রাজা হাতি (২৮) ও মহম্মদ আহসান আলিকে (২১) গ্রেপ্তার করে পুলিস। পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকা থেকে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা বিকাশ কুমারকেও (২৪) পাকড়াও করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে মোট ৩৯টি মোবাইল ফোন, ৮টি পাওয়ার ব্যাঙ্ক, তিনটি সিলড হাত ঘড়ি, একটি ট্যাব, দু’টি সিলড ব্লুটুথ স্পিকার, একটি হেডফোন, একটি স্কুটার ও আড়াই লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিস সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া সামগ্রীর অঙ্ক আনুমানিক ১৫ থেকে ১৭ লক্ষ টাকা। রবিবার ধৃতদের আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ২ আগস্ট পর্যন্ত পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন। ওই টাকা কোথায় গিয়েছে, এই গ্যাংয়ের সঙ্গে আর কারা যুক্ত রয়েছে, খতিয়ে দেখছে পুলিস। 
  • Link to this news (বর্তমান)