গুরগাঁওতে বাংলার পরিযায়ী ৭ শ্রমিককে 'হেনস্তা', মালদহ জেলা পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার
প্রতিদিন | ২৮ জুলাই ২০২৫
বাবুল হক, মালদহ: বাংলায় কথা বলায় বাংলাদেশি সন্দেহ। গুরগাঁওতে চূড়ান্ত হেনস্তার শিকার বাংলার সাতজন পরিযায়ী শ্রমিক। অবশেষে মালদহ জেলা পুলিশের তৎপরতায় রক্ষা পান তাঁরা। খুব শীঘ্রই নিজেদের বাড়িতে ফেরার কথা তাঁদের।
ওই সাত পরিযায়ী শ্রমিক আজমল হোসেন, উসমান আলি, লোকমান আলি, মনিরুল ইসলাম, সাদিকুল হক, প্রকাশ দাস, অভিজিৎ দাস। প্রত্যেকেই মালদহের হরিশচন্দ্রপুরের দৌলতাপুরের বাসিন্দা। গুরগাঁওতে সাফাইকর্মীর কাজ করেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, ওই সাতজনকে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করে গুরগাঁও থানার পুলিশ। অভিযোগ, বৈধ পরিচয়পত্র দেখিয়েও লাভ হয়নি কিছুই। খবর বাড়িতে পৌঁছনোর পরই পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের লোকজন জেলা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। একমুহূর্ত সময় নষ্ট না করে ফরিদাবাদে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন মালদহের পুলিশ সুপার। ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের একাধিক বৈধ পরিচয়পত্র পাঠান জেলা পুলিশ সুপার। এরপর ছেড়ে দেওয়া হয় ওই সাতজনকে।
উল্লেখ্য, গত কয়েকমাস ধরেই বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর বিভিন্ন রাজ্যে অত্যাচারিত হওয়ার অভিযোগ উঠছে। কখনও মারধর, কখনও তাঁদের উপর হামলা, লুটপাট, উপার্জন কেড়ে নেওয়া, কখনও আবার পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেওয়ার মতো অভিযোগ শোনা গিয়েছে। প্রতিবাদে পথে নেমে আন্দোলন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী শুরু হয়েছে ‘ভাষা আন্দোলন’। সোমবার বোলপুরে নিজেও পদযাত্রায় অংশ নেবেন। ‘নিপীড়িত’ বাঙালিদের পাশে দাঁড়াতে হেল্পলাইনও চালু করে রাজ্য পুলিশ। রাজ্য পুলিশের তরফে চালু করা হেল্পলাইন নম্বরটি হল – ৯১৪৭৭২৭৬৬৬। আক্রান্তরা কিংবা আক্রান্তদের পরিবারের লোকজনেরা এই নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন। তবে এই নম্বরটিতে নাম, ঠিকানা-সহ হোয়াটসঅ্যাপ করা যাবে। ওই অভিযোগ খতিয়ে দেখবে রাজ্য পুলিশ। পরে সংশ্লিষ্ট রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বাংলার পুলিশ। প্রয়োজনে জেলার কন্ট্রোল রুম এবং স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করতে পারেন ‘আক্রান্ত’রা। যদিও বাঙালি হেনস্তার পালটা অনুপ্রবেশ ইস্যুতে সুর চড়াচ্ছে বিজেপি। দুর্গাপুরের সভামঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাফ জানিয়েছেন, যে বা যারা অনুপ্রবেশ করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সংবিধান মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।