• বড় খবর, ওবিসি মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের
    আজ তক | ২৮ জুলাই ২০২৫
  • ওবিসি সার্টিফিকেটের মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের। রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত হাইকোর্ট কীভাবে বাতিল করতে পারে, সেই প্রশ্নও তুলল প্রধান বিচারপতি বিআর গবইয়ের বেঞ্চ। এই মামলা হাইকোর্টে ফিরিয়ে আগামী ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে শুনানি শেষ করার আবেদনও জানানো হয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে।   

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, ওবিসি মামলায় শুনানির জন্য কলকাতা হাইকোর্টকে নতুন বেঞ্চ গঠন করতে হবে। কারণ হাইকোর্ট যে পর্যবেক্ষণ করেছে তাতে সমস্যা রয়েছে। হাইকোর্টের বেঞ্চ পাল্টানোর জন্য কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ করা হয় সুপ্রিম কোর্টের তরফে। 

    অর্থাৎ নির্দেশ মতো হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ বদলানোর সুপারিশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচাররপতি গবই, বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রন এবং বিচারপতি এনভি অঞ্জরিয়ার বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়।

    শুনানিতে কী হল? 

    এদিনের শুনানিতে রাজ্যের পক্ষে সওয়ালকারী আইনজীবী কপিল সিব্বল আদালতে জানান, কলকাতা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের জেরে অনেকের ভবিষ্যৎ বিশবাঁও জলে। তাই এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা উচিত। দু পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত জানায়, এভাবে কোনও প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া যায় না। সংরক্ষণ প্রদানের জন্য এক্সিকিউটিভ ইনস্ট্রাকশন বা নির্বাহী নির্দেশনা যথেষ্ট এবং এই ক্ষেত্রে আলাদা কোনও আইন প্রণয়নের প্রয়োজন নেই।  

    প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের ফলে ওবিসি মামলায় আপাতত স্বস্তিতে রাজ্য সরকার। এর আগে গত জুন মাসে নতুন ওবিসি তালিকার উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্য সরকার উচ্চ আদালতের সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল। ওবিসি মামলা ঝুলে থাকায় ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি, নিয়োগ ইত্যাদি নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় রাজ্য সরকারকে। 

    গত ১৭ই জুন রাজ্যের ওবিসি তালিকার উপর স্থগিতাদেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্য সরকার  সেই রায়কে চ্য়ালেঞ্জ করে দ্বারস্থ হয় সুপ্রিম কোর্টের। গত ২৪ জুলাই প্রধান বিচারপতির এজলাসে মামলা মেনশন করে দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছিলেন আইনজীবী কপিল সিব্বল।

     
  • Link to this news (আজ তক)