লাগাতার বাংলা-বাঙালি অপমানিত হচ্ছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে। এর প্রতিবাদে রাজপথে নেমেছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল, আওয়াজ তুলছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এই ইস্যুতে সরব হলেন বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার থেকে বারাসাতের বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তীও। উল্লেখ্য, বারাসতের প্রখ্যাত ‘আমরা সবাই’ ক্লাবের শ্যামা পুজোর খুঁটিপুজো হল রবিবার। সাংসদ কাকলি উপস্থিত হয়ে এই খুঁটিপুজোর আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন এদিন।
দুর্গাপুজো-কালীপুজো মানেই বাঙালির আবেগ, ভালোবাসা, ভক্তি, প্রেম। তবে আজ বিজেপি শাসিত রাজ্যে লাঞ্চিত হচ্ছেন এই বাঙালিরাই। পুজো শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়টিতে দুঃখপ্রকাশ করেন কাকলি। তাঁর ভাষায়, ‘শনিবার লোকসভার স্পিকার সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানে আমি স্পষ্ট জানিয়েছি, দেশে ভাষা সন্ত্রাস চলছে! স্বাধীনতার এত বছর পরেও যদি আমার ভাষার জন্য আমাকে নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হয়, এর চেয়ে লজ্জার কিছু হয় না। এই ভাষা সন্ত্রাস গণতন্ত্রের লজ্জা। যে রাজ্যে বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে, সেখানেই এই চক্রান্ত করছে কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা বাংলার মানুষের পাশে রয়েছি।’
একই সুর চিরঞ্জিতের গলাতেও। দুঃখপ্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘অনুপ্রবেশকারীদের কোনও জায়গা নেই। তবে আগে প্রমাণ করতে হবে, তাঁরা আদতেই অনুপ্রবেশকারী কি না। কেবল সন্দেহের বশে পুশব্যাক বা হেনস্থা করা যায় না। সকল নথি থাকা সত্ত্বেও কেন বারংবার বাঙালিদের হেনস্থা করা হবে?’ প্রসঙ্গত, নবম বর্ষে পদার্পণ করল বারাসতের ‘আমরা সবাই’ ক্লাবের শ্যামা পুজো। এবারের থিম শ্রীকৃষ্ণের দ্বারকা।
সাংসদের ভাষায়, ‘খুঁটিপুজোর মাধ্যমে বারাসতে শারদোৎসবের সূচনা হল। আজ থেকে ন’বছর আগে এই পুজোর সূচনা হয়েছিল আমার হাত ধরেই। মা সকলের মঙ্গল করবেন, এটাই প্রার্থনা।’ বিধায়ক চিরঞ্জিত বলেন, ‘আমার মতে এটাই বারাসতের সেরা পুজো। অভিনব থিম, আলোকসজ্জা – সবমিলিয়ে চোখ ধাঁধানো পুজো।’ এদিনের অনুষ্ঠানে কাকলি এবং চিরঞ্জিতের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বারাসত পুরসভার পুরপ্রধান অশনি মুখার্জি, বারাসত শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা ‘আমরা সবাই’ ক্লাবের সম্পাদক অরুণ ভৌমিক, ক্লাবের মুখ্য সদস্য নন্দিতা ভৌমিক-সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।