পশুপাখির গরমিলের অভিযোগের মাঝে খুশির খবর, আলিপুরে জিরাফ পরিবারে এল নয়া সদস্য
প্রতিদিন | ২৮ জুলাই ২০২৫
নিরুফা খাতুন: পশুপাখির সংখ্যার গরমিলের অভিযোগ ঘিরে আলিপুর চিড়িয়াখানা নিয়ে জোর চর্চা চলছে। এই আবহেই খুশির খবর চিড়িয়াখানায়। জিরাফের পরিবারে এল নতুন সদস্য। সাবিত্রী ও মঙ্গলের ঘর আলো করে এসেছে ফুটফুটে সন্তান। নবজাতকের বয়স মাত্র ১১দিন। এই নিয়ে আলিপুরে জিরাফের সংখ্যা বেড়ে হল দশ।
কেন্দ্রীয় জু অথিরিটি শুমারে এসে আলিপুর চিড়িয়াখানা নয়া অতিথির তথ্যও নিয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত নয়া সদস্যকে দর্শকদের সামনে নিয়ে আসা হয়নি। তার দর্শন পেতে আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। আলিপুর চিড়িয়াখানা সূত্রে খবর, জিরাফ শাবক স্ত্রী না পুরুষ, তা এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। সেটা আর কয়েকদিন পর জানা যাবে। তবে মা ও নবজাতক দু’জনে সুস্থ রয়েছে। আলিপুরে প্রাণী চিকিৎসকরা তাদের স্বাস্থের উপর নজর রাখছে। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে আরও একটি জিরাফে কন্যাশাবক হয়েছিল। তার নাম দেওয়া হয়েছিল আশা। তারও বাবা ছিল মঙ্গল। কিন্তু আশাকে বাঁচানো যায়নি। জন্মের কয়েকদিন পর সে মারা যায়।
জিরাফ শাবকের মৃত্যু কারণ ছিল মায়ের দুধ না পাওয়া। আশাকে বাঁচাতে কম চেষ্টা করেনি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। জন্মের পর মা বাচ্চাকে দুধ দিত না। দুধ খেতে মায়ের কাছে গেলে লাথি মারত। চিড়িয়াখানার কর্মীরা ছোট্ট শাবককে ফিডিং বোতলে করে দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু মায়ের দুধ ছাড়া সে বাইরের দুধ মুখে তুলতে চায়নি। দিনের পর দিন মাতৃদুধ না পেয়ে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। আশার আলো নিভে যাওয়ায় জিরাফের পরিবারে যেন শোকের ছায়া নেমে আসে। এদিকে আশার মা যখন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিল তখন মঙ্গল সাবিত্রীর সঙ্গে থাকছিল। এখন নবজাতককে নিয়ে সাবিত্রী এক ঘরে রয়েছে। বাবা মঙ্গলকে কাছে ঘেঁষতে দিচ্ছে না। তবে মা ও সন্তানের খুনসুটি দেখতে মাঝে মাঝে দরজার ফাঁকে লম্বা গলা দিয়ে উঁকি মারছে মঙ্গল।
আলিপুর চিড়িয়াখানায় পশুপাখিদের হিসাবে বিস্তর গরমিল পাওয়া গিয়েছে বলে স্বজন নামে এক সংগঠন অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে মামলা রুজু করেছে। গরমিলের অভিযোগ উঠতে কেন্দ্রীয় জু অথিরিটির একটি দল আলিপুর চিড়িয়াখানায় শুমার করে গিয়েছে। এরই মধ্যে খুশির খবর এল চিড়িয়াখানায়। জিরাফ সাবকের জন্ম হতেই বাড়ল পশুর সংখ্যাও।