• পহেলগাঁওয়ে হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত জঙ্গিদের নিয়ে কোন প্রশ্ন অভিষেকের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ জুলাই ২০২৫
  • সিঁদুর বিতর্ক ঘিরে সংসদে তৃণমূলের অবস্থান স্পষ্ট করতেই দিল্লির পথে রওনা দিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার লোকসভায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে নির্ধারিত বিশেষ আলোচনায় অংশ নিতে যাদবপুরের সাংসদ সায়নী ঘোষ বক্তৃতা দেবেন বলে জানান তিনি। তার আগেই কলকাতা বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি কেন্দ্র ও বিজেপিকে একের পর এক বিঁধলেন।


    পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত জঙ্গিরা কেন ধরা পড়েনি? এই প্রশ্ন তুলে জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুতে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিষেক। তিনি বলেন, যে সন্ত্রাসবাদীরা হত্যার সঙ্গে জড়িত, তারা আজও অধরা কেন? এর দায় কে নেবে? সঙ্গে যোগ করেন, যারা বাংলার ভাষা ও সংস্কৃতির উপর হামলা করছে, তারা আগেও শিক্ষা পেয়েছে, এবার আরও কঠিন শিক্ষা পাবে। ২০২১ আর ২০২৪ মনে নেই? ২০২৬-এ আরও স্পষ্ট হবে মানুষের রায়।

    ভোটার তালিকা থেকে বাংলাভাষীদের বাদ দেওয়ার অভিযোগ তুলেও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিষেক। তাঁর অভিযোগ, কমিশন এখন বিজেপির তল্পিবাহক হয়ে উঠেছে। বাংলায় হেরে যাওয়ার বদলা নিতে এখন বাঙালির ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। একইসঙ্গে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে কেন্দ্র ও বিএসএফকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। বলেন, যদি অনুপ্রবেশ এতই হয়ে থাকে, তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এবং বিএসএফ ডিজির পদত্যাগ করা উচিত। তাঁদের দায়িত্ব নিতে হবে।

    কলকাতা বিমানবন্দর থেকে দিল্লি যাওয়ার আগে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টেও পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার পক্ষে জোর সওয়াল করেন অভিষেক। লেখেন, ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের কোনও ধরনের সম্পর্ক থাকা উচিত নয়। একমাত্র সম্পর্ক হতে পারে যুদ্ধক্ষেত্রে। আর সেই যুদ্ধের পুরস্কার হওয়া উচিত পাক অধিকৃত কাশ্মীর।

    ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়েও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন তিনি। বলেন, খেলার ময়দান এতটা মহান নয় যে সেখানে শহিদের রক্ত ধুয়ে যাবে। যারা ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে, তাদের সঙ্গে ক্রিকেটীয় সৌজন্য মানে শহিদদের অসম্মান। যদি ম্যাচ হয়ও, সেটা হোক সীমান্তে, আর ট্রফি ফিরুক পিওকে-এর রূপে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)