• বিহারে কুকুরের নামেও ভোটার কার্ড’ বিজেপিকে সুবিধা দিতেই এসআইআর, তোপ অভিষেকের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ জুলাই ২০২৫
  • এসআইআর অর্থাৎ স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন ইস্যুতে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্র সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে তীব্র আক্রমণ করলেন। তাঁর কটাক্ষ, ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে বিজেপি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সুবিধা নিচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে শুধু গেরুয়া শিবিরই নয়, নির্বাচন কমিশনকেও একহাত নেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।


    সোমবার দিল্লি যাওয়ার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ স্পষ্টভাবে বলেন, বিহারে এমন নজির সামনে এসেছে, যেখানে কুকুরের নামে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট বানিয়ে ভোটার কার্ড তৈরি হয়েছে। বাবার নাম লেখা আছে ‘কুত্তাবাবু’! এই সার্টিফিকেট দিয়েই ভোটার তালিকায় নাম তুলতে পারে কেউ। এতেই স্পষ্ট, কার সুবিধার জন্য এই এসআইআরের ছত্রছায়া তৈরি হয়েছে।

    অভিষেকের অভিযোগ, এসবই বিজেপিকে ভোটের আগে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কৌশল। তাঁর বক্তব্যে কমিশনের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ উঠে আসে। সরাসরি আঙুল তুলে অভিষেক বলেন, নির্বাচন কমিশন এখন বিজেপির ইশারায় কাজ করছে। যে সময় ভোট লুঠ করে বিজেপি ক্ষমতায় আসে, সেই সময় কমিশনের ভূমিকা থাকে প্রশ্নের মুখে।

    এই প্রসঙ্গে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের কথাও উঠে আসে অভিষেকের বক্তব্যে। অভিষেক বলেন, শীতলকুচিতে একজন ভোটারকে গুলি করে মারা হয়েছিল। তাঁর হাতে কোনও অস্ত্র ছিল না, তবু তাঁকে গুলি করা হয়। তখন রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার দায় ছিল নির্বাচন কমিশনের। কেন আট দফায় ভোট হয়েছিল কোভিড পরিস্থিতিতেও। সেই প্রশ্নের উত্তর আজও মেলেনি।

    ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে বাঙালিদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। অভিষেকের কথায়, এসআইআরের নামে বাঙালিদের নাগরিক অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। যাদের বাংলা ও বাঙালিকে চেনারই ইচ্ছে নেই, তারা বাংলার ইতিহাসও জানে না। এই বাংলা চার চারটি নোবেলজয়ী দিয়েছে, স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালির অবদান ভুলে গেলে চলবে না। এছাড়াও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগের দাবিও তোলেন অভিষেক। তাঁর সাফ বার্তা, যে সরকার সংবিধান মানে না, যে সরকার নাগরিক অধিকার লঙ্ঘন করে, সেই সরকারের নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তির পদে থাকার অধিকার নেই।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)