বাংলাদেশে হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বিগ্ন আমেরিকা
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশে হিন্দুসহ অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসনের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত কমিশনের পেশ করা এক রিপোর্টে একথাই জানানো হয়েছে। রিপোর্টটি লিখেছেন কমিশনের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিশ্লেষক সীমা হাসান। যিনি একজন মুসলিম মহিলা।
রিপোর্টে বাংলাদেশে হিন্দুসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতার ভয়াবহ অবস্থার কথা তুলে ধরা হয়েছে। মে মাসে বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিলেন ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমের প্রতিনিধিরা। সেদেশের সরকারি আধিকারিক ও সমাজের খ্যাতনামা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এই রিপোর্ট তৈরি করেছেন তাঁরা। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালের ৫ মে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়়ার পর থেকে বিভিন্ন অছিলায় সেখানে হিন্দুসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর বেলাগাম নির্যাতন হয়েছে। কখনও তাদের আওয়ামি লিগ সমর্থক বলে চিহ্নিত করে। কখনও ধর্মীয় বিশ্বাস আলাদা হওয়ার কারণে সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে, তাদের ধর্মস্থান ভাঙচুর করা হয়েছে।
এমনকী, বাংলাদেশে ঈশদ্রোহের যে আইন রয়েছে তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন সরকারের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক কমিশন। বাংলাদেশে ঈশদ্রোহকে ফৌজদারি অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হয়। এই অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে ২ বছরের কারাদণ্ডের সাজা হতে পারে। এই আইন নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন কমিশনটি। রিপোর্টে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এমনকী বাংলাদেশে প্রস্তাবিত সংবিধান সংশোধনে সংখ্যালঘুদের অন্তর্ভুক্ত করা না হলে তাদের প্রতি বঞ্চনা আরও দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।