• ‘বিরাট গেমপ্ল্যান আছে…’, ভাষা আন্দোলনের সূচনায় বিজেপি-কমিশনকে একযোগে আক্রমণ মমতার
    এই সময় | ২৮ জুলাই ২০২৫
  • ‘কেন্দ্রীয় সরকারের বিরাট গেমপ্ল্যান আছে।’ বোলপুরে ভাষা আন্দোলনের সূচনার দিনে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করে মমতার মন্তব্য, ‘আমি বলছি, দেশ ভেঙে যেতে পারে এই অপদার্থ নীতির জন্য। বিরাট গেমপ্ল্যান আছে। ডবল ইঞ্জিন সরকার যে নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে এসেছে… আপনি সরকারের হয়ে এনআরসির খেলায় নেমেছেন?’

    সোমবার বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বোলপুরের মাটি থেকে ভাষা আন্দোলনের সূচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবি ঠাকুরের ছবি হাতে নিয়ে বোলপুর ট্যুরিস্ট লজ থেকে মিছিলের সূচনা হয়। মিছিল শেষে জাম্বুনি বাস স্ট্যান্ডে সভা করেন তিনি। নাম না করে চিফ ইলেকশন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে আক্রমণ করেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একজন দেশের মন্ত্রীর কো-অপারেশন সেক্রেটারি ছিলেন। ডবল ইঞ্জিন সরকারের মতামত নিয়ে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার চক্রান্ত শুরু করেছেন। যাতে ওঁর বন্ধুকে বকলমে ডবল ইঞ্জিন কার্ড খেলে জেতানো যায়। শূন্য থেকে মহাশূন্যে পৌঁছে যাবে। এ ভুল কোরো না।’

    ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই ‘ভাষা আন্দোলন’-এর কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা। একদিকে, বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাভাষী মানুষকে হেনস্থার অভিযোগ, অন্যদিকে সম্প্রতি বিহারে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনের বিতর্ক — দু'টি বিষয়কেই আক্রমণের হাতিয়ার বানিয়েছেন মমতা। বাংলাতেও SIR বা তালিকার নিবিড় সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা। মমতার হুঁশিয়ারি, ‘একটা মানুষের ঠিকানা কেড়ে নেওয়া হলে তোমাদের ঠিকানাও থাকবে না।’

    কী ভাবে হবে প্রতিবাদ? সেটাও এ দিনের মঞ্চ থেকে স্পষ্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘বাংলায় নাম বাদ দিয়ে দেখুন, ছৌ নাচ দেখানো হবে। ধামসা-মাদল দেখবেন। কাঁসর-ঘণ্টা-শঙ্খ আছে, বাজিয়ে দেব দামামা।’ শঙ্খ-উলু ধ্বনি দিয়ে মহিলাদের এই আন্দোলনের সামনের সারিতে আসার ডাক দেন মমতা।

    ভোটার তালিকা নিবিড় সংশোধনের নামে পরোক্ষে NRC করা হচ্ছে — সেই আশঙ্কার কথা ফের এ দিন শোনা যায় মমতার মুখে। মমতা বলেন, ‘একটা সঠিক ভোটারের নাম বাদ দিলে, আমি বলছি, মানুষের হয়রানি হতে দেব না। আমি এখানে বেঁচে থাকতে এনআরসি হতে দেব না। কোনও ডিটেশনন ক্যাম্প হতে দেব না।’

    এর পাশাপাশি বাংলার বাইরে যে শ্রমিকরা কাজ করছেন, তাঁদের ফিরে আসার জন্য অনুরোধ করেন মমতা। তাঁর বক্তব্য, 'এই সব শ্রমিকদের জন্য ইতিমধ্যেই নির্দিষ্ট প্রকল্পের কথা ভাবা হয়েছে। যেখানে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে, সেখান থেকে ফিরে আসার কথা জানান মমতা।' হেনস্থা হলে রাজ্য পুলিশের হেল্পলাইন নম্বরে দ্রুত যোগাযোগ করার ব্যাপারেও উপদেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

  • Link to this news (এই সময়)