• ‘প্রতিকূল’ আবহাওয়ায় পিছু হটলেন আন্দোলনকারীরা, ডিএ, চাকরির দাবিতে নবান্ন অভিযান স্থগিত
    প্রতিদিন | ২৯ জুলাই ২০২৫
  • অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: অবস্থানের কথা বলেও ‘প্রতিকূল’ আবহাওয়ায় পিছু হটলেন আন্দোলনকারীরা। নবান্ন অভিযান স্থগিত করার কথা ঘোষণা হল চাকরি, ডিএ আন্দোলনকারীদের তরফে। তবে আগামী দিনে আন্দোলন চলবে। ফের নবান্ন অভিযান হতে পারে। সেই কথাও আন্দোলনকারীদের তরফে জানানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী ও চাকরিহারা ঐক্য মঞ্চ, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ, যৌথ মঞ্চ, সরকারি কর্মচারী পরিসর পশ্চিমবঙ্গের মতো একাধিক সংগঠন ও মঞ্চ এদিন নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল।

    নবান্ন অভিযান ঘিরে প্রশাসনের তরফে কড়া নিরাপত্তায় মোড়া হয়েছিল গোটা এলাকা। মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ী সংগঠনের মামলার ভিত্তিতে জমায়েতের উপর কলকাতা হাই কোর্ট আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। শুধু তাই নয়, হাওড়া সিটি পুলিশের তরফে এই নবান্ন অভিযানের কোনও অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তা সত্ত্বেও নিজেদের অবস্থানে অনড় নবান্ন অভিযানকারীরা। এদিন সকাল থেকেওই আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন জায়গায় জমায়েত করতে শুরু করেন। বেলায় হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে মিছিল শুরু হয়। তবে তেলঘাট রোডেই মিছিল আটকে দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে। ওই এলাকাতেই রাস্তায় অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। রাতভর অবস্থান চলবে। সেই কথাও শোনা গিয়েছিল।

    এদিকে দুপুর থেকে আবহাওয়া ক্রমেই প্রতিকূল হতে থাকে। মুষলধারায় শুরু হয় বৃষ্টি। শেষপর্যন্ত প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য পিছু হটলেন আন্দোলনকারীরা। এদিন বিকেলে নবান্ন অভিযান সমাপ্তির কথা ঘোষণা করা হয়। আন্দোলনকারীদের তরফে জানানো হয়, এদিনের আন্দোলন থেকে শিক্ষা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। হাই কোর্টে মামলা করে বিভ্রান্ত করা হয়েছিল বলে দাবি। প্রচুর হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। সব প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে এই অভিযান হয়েছে বলে এদিন জানানো হয়। দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন আগামী দিনেও হবে। চাকরি ও ডিএ-র দাবিতে ফের নবান্ন অভিযান হতে পারে। সেই সম্ভাবনার কথাও এদিন জানিয়ে রাখলেন আন্দোলনকারীরা।

    এদিন বেআইনি জমায়েত রুখতে প্রায় ২ হাজার পুলিশ হাওড়ার বিভিন্ন রাস্তায় মোতায়েন ছিল। প্রস্তুত রাখা হয়েছিল তিনটি জলকামান। মিছিল ও জমায়েতের উপর নজরদারি রাখতে হাওড়া সিটি পুলিশের তরফে প্রায় ১০টি ড্রোন ছিল। আন্দোলনকারীদের রুখতে হাওড়া শহরের তিনটি মূল জায়গায় বসানো হয় লোহার ভারী ব্যারিকেড। হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নবান্নে ঢোকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোকে আটকে দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। নবান্নের দিকে যাওয়ার শহরের মূল তিনটি প্রবেশপথকে সোমবার সকাল থেকেই বড় বড় লোহার ব্যারিকেড দিয়ে সিল করে দেওয়া হয়। হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন রেল মিউজিয়াম, ফরশোর রোডের রামকৃষ্ণপুর ঘাট গেট ও জি টি রোডের বঙ্গবাসী মোড়ের কাছে বসানো হয় লোহা ও কংক্রিটের ব্যারিকেড। একইসঙ্গে শিবপুর কাজিপাড়ার মোড় ও নবান্নর কাছেও ব্যারিকেড করার জন্য বড় বড় লোহার গার্ডরেলও ছিল।
  • Link to this news (প্রতিদিন)