• রোগীর পরিজনদের হয়রানি রুখতে এবার ‘মিট উইথ পেশেন্ট পার্টি’ রুম
    বর্তমান | ২৯ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বালুরঘাট: হাসপাতালের ওয়ার্ডে রোগী দেখার পর নাগাল পাওয়া যায় না চিকিৎসকদের। অনেক সময় রোগীর অবস্থা কেমন, তা সরাসরি চিকিৎসকদের মুখ থেকে জানতেই পারেন না পরিবারের সদস্যরা। ফলে আত্মীয়, পরিজনদের হয়রানি হয়। সেজন্য এবার বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে চালু হচ্ছে ‘মিট উইথ পেশেন্ট পার্টি রুম’। জেলা হাসপাতালের সুপার স্পেশালিটি এবং তিনতলা ভবনের দুই জায়গায় নির্দিষ্ট কক্ষ তৈরি হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর ওই কক্ষেই চিকিৎসকদের পাবেন পরিজনরা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন চিকিৎসকরা। এতে রোগীর পরিজনদের হয়রানি কমবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।  সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ বলেন,বেশকিছু ঘর তৈরি হচ্ছে। যেখানে চিকিৎসকদের নির্দিষ্ট সময়ে পাবেন রোগীর পরিজনরা। তাঁরা কথা বলতে পারবেন। স্বাস্থ্যভবন থেকে এই নির্দেশ এসেছে। যত দ্রুত সম্ভব, এই পরিষেবা চালু হবে। 

    হাসপাতাল সূত্রে খবর,দশতলা ভবনে বেশিরভাগ বিভাগ রয়েছে। তবে তিনতলা ভবনেও কয়েকটি রয়েছে। অনেক সময় চিকিৎসকরা একটি ভবন থেকে রোগী দেখে অন্য ভবনে যান। আবার চিকিৎসকদের অনেক সময় জরুরি কাজে বেরিয়ে যেতে হয়। হাসপাতালের মেডিসিন অথবা সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে বহু রোগী ভর্তি থাকেন। দিনের বেলা নির্দিষ্ট সময় অন্তর রোগীদের দেখতে আসেন চিকিৎসকরা। অনেক সময় রোগীদের সঙ্গে পরিবার-পরিজন থাকলে সেখানে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলা যায়। কিন্তু অনেক সময় তাঁরা না থাকায় সম্ভব হয় না। আবার রোগীর পরিবার থাকলেও আলাদাভাবে কথা বলা যায় না। শুধু তাই নয়, চিকিৎসকরা রোগী দেখে বাইরের চেম্বারে চলে যান। ফলে রোগীর আত্মীয়, পরিজনরা হাসপাতাল মোড় কিংবা রঘুনাথপুরের প্রাইভেট চেম্বারগুলিতে হন্যে হয়ে ওই নির্দিষ্ট চিকিৎসকের খোঁজে ঘুরতে থাকেন। এবার রোগীর পরিজনদের সময় দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চিকিৎসকদের। বালুরঘাট হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসা এক রোগীর আত্মীয় সমীর প্রামাণিক বলেন, রোগী ভর্তি থাকলেও অনেক সময় চিকিৎসকের দেখা পাওয়া যায় না। 

    চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে এখানে, ওখানে ছুটতে হয়। প্রাইভেট চেম্বারেও অনেক সময় যেতে হয়। নতুন পরিষেবা চালু হলে ভালো হবে।  ফাইল চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)