নির্মাল্য সেনগুপ্ত, রায়গঞ্জ: কন্যাশ্রী প্রকল্পে ভালো কাজের সাফল্য ধরে রাখল উত্তর দিনাজপুর জেলা। গত বছর বিপুল সংখ্যক ছাত্রীকে প্রকল্পটির সুবিধা পাইয়ে দিয়ে রাজ্যস্তরে পুরস্কৃত হয়েছিল এই জেলা। দ্বিতীয় বার সাফল্য ধরে রেখে রাজ্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এবারও কন্যাশ্রী প্রকল্পে রাজ্যের মধ্যে বেস্ট পারফরমিং জেলা হিসেবে উঠে এসেছে উত্তর দিনাজপুরের নাম। প্রশাসনের বক্তব্য, ছাত্রীদেরকে কন্যাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে যে সুবিধা দেওয়ার কথা, তা ভালোভাবেই পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। তার জন্যই ফের শীর্ষ স্থানে জায়গা মিলেছে। রাজ্য থেকে এই সাফল্যের স্বীকৃতি পাওয়ার বার্তা পেয়ে উচ্ছ্বসিত উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন।
প্রশাসন সূত্রে খবর, সম্প্রতি রাজ্য থেকে বার্তা এসে পৌঁছয় জেলা সদর দপ্তরে। তাতেই উল্লেখ রয়েছে কন্যাশ্রী প্রকল্পে রাজ্যের মধ্যে বেস্ট পারফরমিং জেলা হয়েছে উত্তর দিনাজপুর। ঠিক হয়েছে ১৪ আগস্ট কন্যাশ্রী দিবসে রাজ্যস্তরের অনুষ্ঠানে কলকাতায় ধনধান্য অডিটোরিয়ামে জেলার কন্যাশ্রী দপ্তরের আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন। তাঁরা পুরস্কার গ্রহণ করবেন। ডাক পেতে পারে জেলার কয়েকজন কন্যাশ্রীও। সেইসঙ্গে আসন্ন কন্যাশ্রী দিবসে এবার জেলাতেও একটি বিশেষ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান হতে চলেছে। যেখানে জেলার সম্ভবত পাঁচ কন্যাশ্রীকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। তারা আর্থিক পুরস্কারও পাবে। তিনটি বেস্ট স্কুল ও তিনটি বেস্ট কলেজকে ওই অনুষ্ঠানে সম্মানিত করবে জেলা প্রশাসন।
চলতি শিক্ষাবর্ষে জেলায় কন্যাশ্রীর কে-ওয়ানের (১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সি অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির প্রত্যেক ছাত্রী বার্ষিক হাজার টাকার অনুদান) মাধ্যমে সর্বমোট ৫১ হাজার ৩০৯ জন ছাত্রী উপকৃত হয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে সুবিধা পাচ্ছে ২৪ হাজার ১৩৮ জন ছাত্রী। কে-টুর (দ্বাদশ শ্রেণির পরে ১৮ ঊর্ধ্ব ছাত্রীদের এককালীন ২৫ হাজার টাকা) মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে ১৭ হাজার ৫১৬ জন।
জেলা কন্যাশ্রী দপ্তরের আধিকারিক সৌমিতা পাল বলেন, কন্যাশ্রী প্রকল্প নিয়ে ভালো কাজের জন্য রাজ্যে বেস্ট পারফরমিং জেলা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে এই জেলা।
এনিয়ে রাজ্যস্তরে দ্বিতীয় বছর এই সাফল্য এল। এনিয়ে আমরা উচ্ছ্বসিত। জেলার ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা সহ কন্যাশ্রী দপ্তরের সকলের সহযোগিতা,চেষ্টা, ব্লকস্তরে প্রশাসনিক উদ্যোগেই এই সাফল্য এসেছে। আমাদের বরাবর চেষ্টা ছিল, যত বেশি সংখ্যক ছাত্রীকে প্রকল্পটির আওতায় আনা যায়।
গত বছরও উত্তর দিনাজপুর বেস্ট পারফরমিং জেলার তকমা পেয়েছিল। তারপর থেকে আরও তৎপরতার সঙ্গে জেলা কন্যাশ্রী বিভাগ কাজ করতে থাকে। সময় মতো যত বেশি সম্ভব ছাত্রীকে সুবিধা পাওয়া দেওয়া যায়, তার জন্য কাজ হয়েছে। বিশেষভাবে স্কুল ছাত্রীদের মধ্যে কীভাবে প্রভাব ফেলছে কন্যাশ্রী প্রকল্প, তা নিয়ে ছাত্রীদের কাছ থেকে জানতে, বিশেষ পর্যালোচনা কর্মসূচীও করে জেলার কন্যাশ্রী বিভাগ। প্রতীকী চিত্র