নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: তিনটি ক্লাসরুম থাকলেও দীর্ঘদিন দু’টির তালা খোলে না। একটি ঘর খুলে হাতেগোনা পড়ুয়া নিয়ে ঘণ্টা দু’য়েক নামমাত্র ক্লাস হয়। এরপর মিড ডে মিল খাইয়েই ছুটি হয়ে যায় স্কুল। জলপাইগুড়ি শহরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডে এভাবেই দিনের পর দিন চলছে অরবিন্দনগর আর আর প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ে ১৭ জন পড়ুয়া। প্রধান শিক্ষক উৎপলকুমার রায়ের দাবি, সোমবার ১১ জন এসেছিল। যদিও দুপুর দু’টোয় কাউকেই পাওয়া যায়নি স্কুলে।
দুপুর তিনটে পর্যন্ত স্কুল চলার কথা থাকলেও সোমবার দু’টো নাগাদ স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, একজনও পড়ুয়া নেই। একা বসে প্রধান শিক্ষক। জিজ্ঞেস করতেই বললেন, মিড ডে মিল খাওয়া হলে গেলে অভিভাবকরা সন্তানদের নিয়ে চলে যান। কিন্তু স্কুল তো তিনটে পর্যন্ত! প্রধান শিক্ষকের সাফাই, অভিভাবকদের অনেকবার বলেছি। তাঁরা শুনতে না চাইলে কী করব!
শুধু এই স্কুল নয়, আরও একাধিক স্কুলে যে এমন ঘটনা ঘটছে, তা স্বীকার করেছেন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি লৈক্ষ্যমোহন রায়। তিনি বলেন, শহরের পাশাপাশি গ্রাম থেকেও রিপোর্ট এসেছে কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় মিড ডে মিল খাওয়ার পরই ছুটি হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার সার্কেল ইনস্পেক্টরদের বৈঠকে ডেকেছি। কেন এমন ঘটনা ঘটছে, তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হবে।
অরবিন্দনগর আর আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দু’জন শিক্ষক। কিন্তু এদিন প্রধান শিক্ষককে পাওয়া গিয়েছে। তাঁর দাবি, সহ শিক্ষিকা কিডনির অসুখে আক্রান্ত। তিনি স্কুলে এসে ডায়ালিসিস করাতে গিয়েছেন। সপ্তাহে তিনদিন তিনি ডায়ালিসিস করাতে যান। বিষয়টি ডিআই, ডিপিএসসি’র চেয়ারম্যান জানেন। যদিও এমন কোনও বিষয় তাঁর জানা নেই বলে জানিয়েছেন লৈক্ষ্যমোহন।