• ১১টা বাজলেও অফিসে না আসায় ৩৫ কর্মীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ পার্থর
    বর্তমান | ২৯ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: সকাল ১১টা বেজে গিয়েছে। অথচ, কোচবিহারে এনবিএসটিসির প্রধান কার্যালয়ে পরিবহণ ভবনে অধিকাংশ কর্মী অনুপস্থিত। কয়েকদিন ধরে কর্মীদের এই অভ্যেস নজরে পড়েছিল উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যানের। সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিন অফিস পরিদর্শনে বেরিয়ে দেখেন পরিস্থিতি বদলায়নি। ১১টা বাজলেও আসেননি অর্ধেকের বেশি কর্মী। সিদ্ধান্ত নিতে এক মুহূর্ত দেরি করেননি চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায়। সমস্ত বিভাগের হাজিরা খাতা নিজের ঘরে আনিয়ে ৩৫ জন কর্মীর নামের পাশে সিএল (ক্যাজুয়াল লিভ) লিখে দেন তিনি। নিগম চেয়ারম্যান এই পদক্ষেপ নিতেই কর্মী মহলে শোরগোল পড়ে যায়।  ১১টা পর্যন্ত অনুপস্থিত সেই কর্মীরা পরে অফিসে পৌঁছে দেখেন, খোদ চেয়ারম্যান তাঁদের নামের পাশে সিএল লিখে দিয়েছেন। ফলে স্বাভাবিকভাবে লজ্জিত এবং অস্বস্তিতে পড়তে হয় সেই কর্মীদের। ফলে এদিনের মতো অফিস না করেই বেরিয়ে যেতে হয় তাঁদের।

    নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহার পরিবহণ ভবনে প্রায় ৭০-৭৫ জন কর্মী, আধিকারিক রয়েছেন। এখান থেকেই সমস্ত ডিভিশন, ডিপোর কাজ চলে। নিগমের চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও বহু কর্মী এখানেই বসেন। সেই অফিসে হাজিরার এমন করুণ দশা দেখে খোদ চেয়ারম্যানই অবাক! উঠেছে কর্মসংস্কৃতি নিয়ে প্রশ্ন।

    নিগম চেয়ার‌ম্যানের এই কড়া পদক্ষেপের প্রশংসা শোনা গিয়েছে নিয়ম মেনে অফিসে আসা কর্মীদের মুখে। পার্থ বলেন, পরিবহণ ভবনে বসি। সকাল ১১টার আগে অফিসে চলে আসি। অনেকেই সময়মতো অফিসে না আসা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন। এদিন নির্দেশ দিই, ১১টার পর সমস্ত হাজিরা খাতা আমার ঘরে নিয়ে আসার। তাতে দেখা গিয়েছে, প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মী ১১টার মধ্যে অফিসে আসতে পারেননি। তাঁদের নামের পাশে সিএল লিখেছি। উপস্থিতির উপর নজরদারির নির্দেশিকা জারি হয়েছে। সময়ে অফিসে না এলে সার্ভিস রুল অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)