পাহাড়ে রেকর্ড বৃষ্টিপাত, তিস্তার জলে প্লাবিত গ্রাম
বর্তমান | ২৯ জুলাই ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: পাহাড়ে রেকর্ড বৃষ্টি। যার জেরে সোমবার সকালে দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়ে একাধিক জায়গায় নেমেছে ধস। সকালের দিকে কিছু জায়গায় যান চলাচল ব্যহত হয়। এদিকে, ফের ফুলেফেঁপে উঠেছে তিস্তা নদী। ইতিমধ্যে তিস্তার জলে প্লাবিত মালবাজারের টটগাঁও গ্রামের একাংশ। জলঢাকা নদীও ফুঁসছে। সংশ্লিষ্ট দু’টি নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সঙ্কেত জারি করেছে সেচদপ্তর। তবে, দিনভর ঝিরি ঝিরি বৃষ্টিতে সমতলে গরমের হাত থেকে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। উত্তরকন্যার বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, পাহাড়ের ধস, আর সমতলের প্লাবিত গ্রামের উপর নজর রাখা হয়েছে। নদীর তীরবর্তী গ্রামের বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। পরিস্থিতির মোকাবিলায় সতর্ক রয়েছে প্রশাসনের কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি)। টানা কিছুদিন তীব্র দাবদাহের পর রবিবার জোর বৃষ্টি হয় পাহাড়ে। যার মধ্যে দার্জিলিং পাহাড়ে বৃষ্টির দাপট ছিল বেশি। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রের খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় দার্জিলিংয়ের কৃষি ভবন ও পুলবাজারে ভারী বৃষ্টি হয়। সংশ্লিষ্ট দু’টি জায়গায় বৃষ্টির পরিমাণ, যথাক্রমে ৯২.৪ এবং ৮২ মিলিমিটার। ঘুমে অতিভারী বৃষ্টি হয়েছে। পরিমাণ ১৪২.২ মিলিমিটার। এর জেরে এদিন পাহাড়ের উচু উপত্যকার অংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে নেমে আসে পুলবাজারে মাঝুয়ায় রাস্তার উপর। দিনভর চেষ্টা চালিয়ে সেই রাস্তা থেকে ধস সরায় প্রশাসন। যার জেরে রাস্তাটি দিনভর বন্ধ ছিল। একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বিজনবাড়ির কাইজালে রোড ও হুক্কা রোডের। শৈল শহরের ভুটিয়া বস্তিতে, সুখিয়াপোখরি ব্লকের তামসাংয়ে ও বিজনবাড়ির একটি চা বাগানে রাস্তায় ধস নামে। বিজনবাড়িতে একটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দার্জিলিংয়ের মহকুমা শাসক রিচার্ড লেপচা অবশ্য বলেন, ভারী বৃষ্টির জেরে কিছু রাস্তায় ছোট ধস নেমে ছিল।