যুবতী পিছু মিলত চার হাজার টাকা! ধৃতদের জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
বর্তমান | ২৯ জুলাই ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: একজন যুবতী পিছু চার হাজার টাকা! এই চুক্তিতেই শিলিগুড়ি থেকে বাসে ৩৪ জন যুবতীকে ভিনরাজ্যে ‘পাচার’ করা হচ্ছিল। ধৃত এক মহিলা সহ তিন পাচারকারীকে প্রাথমিক জেরার পর পুলিস এমনটাই জানতে পেরেছে। পুলিসের জেরায় তারা জানিয়েছে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দিলে ওই টাকা তারা পেত। তাই ভলভো বাসে চাপিয়ে ওই যুবতীদের তারা নির্দিষ্ট গন্তব্যে ছেড়ে দিয়ে চলে আসার পরিকল্পনা করেছিল।
যদিও সেখান থেকে ওই যুবতীদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হতো? কীভাবে তাদের কাজে লাগানো হতো বা বিক্রি করে দেওয়া হতো কি না, সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছে না ধৃতরা। সোমবার ধৃত তিনজনকে শিলিগুড়ি আদালতে তুলে হেফাজতে নিয়েছে প্রধাননগর থানা।
অন্যদিকে, রবিবার রাতে উদ্ধারের পর থেকে এদিন পর্যন্ত অভিভাবকদের থানায় ডেকে ৩৪ জন যুবতীকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। যদিও পুলিসের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে যুবতীদের পরিবারের লোকেরা লিখিত কোনও অভিযোগ করতে চাননি। তাঁদের অনেকেই দাবি করেন, মেয়ে ভিনরাজ্যে কাজে যাবে বলে বাড়িতে জানিয়েছিল। যদিও কোথায় যুবতীদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তাঁরাও স্পষ্ট করে কিছু জানেন না। বাইরে গিয়ে কাজ করে অর্থ উপার্জন করবে, এতে পরিবারের হাল কিছুটা হলেও ফিরবে এই আশাতেই তাঁরা মেয়েদের ছেড়েছিলেন।
যদিও এই পাচার চক্রের পান্ডার খোঁজে ইতিমধ্যে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের বিশেষ দল নজরদারি বাড়ানো শুরু করেছে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে পাচারের আগে ৫৬ জন যুবতীকে উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই চক্রের সঙ্গে এবার ধরা পড়া তিনজনের কোনও যোগ আছে কি না, তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের ডিসিপি (পশ্চিম) বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, আমরা ৩৪ জন যুবতীকে অভিভাবকদের হাতে তুলে দিয়েছি। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত, তদন্ত শুরু হয়েছে। উত্তরবঙ্গজুড়ে এই ধরনে আর কোনও চক্র রয়েছে কি না, দেখা হচ্ছে। ধৃতদের জেরা করে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য মিলেছে।