• কারখানায় নাবালিকার হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ, ২০ বছরের কারাদণ্ড
    বর্তমান | ২৯ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: নাবালিকা ধর্ষণের দায়ে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার সাজা ঘোষণা করলেন শিলিগুড়ির পকসো আদালতের বিচারপতি অনিতা মেহেত্রা মাথুর। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছ’মাসের সাজা ঘোষণা করেছেন তিনি। 

    আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, দোষীর নাম শ্যামল দেবনাথ। সে মাটিগাড়ার বাসিন্দা। কৃত্রিম ফুলের ব্যবসা করত। তার কারখানায় প্রচুর নাবালিকা ফুল তৈরির কাজ করছিল। ২০১৭ সালে ১৫ আগস্ট ১২ এবং ১০ বছরের দুই নাবালিকা কারখানায় কাজ করছিল। বাকিদের ছুটি দিয়ে এই দুই নাবালিকাকে কারখানায় রেখে দেয় শ্যামল। এরপর ১০ বছরের নাবালিকার হাতে কুড়ি টাকা দিয়ে তাকে দরজার সামনে পাহারায় বসায়। ১২ বছরের নাবালিকাকে জোর করে ভিতরের ঘরে নিয়ে গিয়ে হাত, পা বেঁধে ধর্ষণ করে। কাউকে এই ঘটনার কথা জানালে ওই নাবালিকা এবং তার পরিবারকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয় শ্যামল। নাবালিকা বাড়ি চলে যায় এবং অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এই ঘটনার প্রায় একমাস পর কাজে যোগ দেওয়ার জন্য ফের নাবালিকার বাড়িতে যায় শ্যামল। তবে এবার অভিযুক্তকে দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করে নাবালিকা। পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে চাইলে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে নির্যাতিতা। সেপ্টেম্বর মাসে অভিযোগ দায়ের করলে শ্যামলকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। শিলিগুড়ি আদালতের সরকারি আইনজীবী সুস্মিতা বসু মৈত্র বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত শ্যামল দেবনাথকে ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এছাড়াও ৫০ হাজার টাকার জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড। নির্যাতিতাকে তিন লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)