• বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে উন্নয়নের গুচ্ছ পরিকল্পনা মুখ্যমন্ত্রীর
    বর্তমান | ২৯ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বোলপুর: দেউচা পাচামিতে এশিয়ার সর্ববৃহৎ কয়লা খনির কাজ জোরকদমে চলছে। সোমবার বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দেউচা পাচামিতে ৩৫হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে। এক লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। তাছাড়াও আশপাশে অনেক কয়লাখনি হবে। এছাড়াও এলাকার উন্নয়নের জন্য ১৯ কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। দেউচা পাচামির জন্য গ্লোবাল টেন্ডার ডাকা হয়েছে। তার প্রসেস চলছে। সরকারি জমিতে ব্যাসল্ট শিলা উত্তোলনের কাজ চলছে।

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরই চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহেই খননকাজ শুরু হয়েছে। দেউচায় ব্যাসল্ট উত্তোলনের কাজে গতি এসেছে। খনিকে কেন্দ্র করে প্রচুর কর্মসংস্থান হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৪৮২জন চাকরি পেয়েছেন। এছাড়াও কয়লা খনি প্রকল্পে একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। এখানেই শেষ নয়। ওই কয়লাখনিকে কেন্দ্র করে আরও কর্মসংস্থান হবে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।  

    লালমাটির জেলার জন্য কর্মসংস্থান তৈরির ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার শুরু থেকেই যথেষ্ট উদ্যোগী। এক্ষেত্রে জেলার মাটিতেই কর্মসংস্থান তৈরি করে বীরভূমকে আর্থিকভাবে আরও চাঙ্গা করে তুলতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে দেউচা পাচামি অন্যতম বড় প্রকল্প। তবে শুধু দেউচা পাচামি নয়। একাধিক ছোট শিল্পের পাশাপাশি পর্যটনকে কেন্দ্র করে জেলার অর্থনীতি কীভাবে চাঙ্গা হতে পারে সেব্যাপারে নির্দিষ্ট রোডম্যাপও তৈরি করে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে তিনি জেলার আহমদপুরে ইন্ড্রাস্টিয়াল পার্ক গড়ে তোলার কথা স্পষ্ট করেছেন। সেক্ষেত্রে আগামী দিনে জেলায় যে বিপুল কর্মসংস্থান হতে চলেছে তাও জানিয়ে দেন। শিল্পের পাশাপাশি পর্যটনকে কেন্দ্র করে জেলার অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড যথেষ্ট শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি আগেই আঁচ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে রবীন্দ্র কর্মতীর্থ বোলপুরের একাধিক ট্যুরিস্ট লজ নতুন আঙ্গিকে সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে শান্তিনিকেতন ট্যুরিস্ট লজ, রাঙাবিতান-২, তারাবিতান, বাউল বিতান সহ পর্যটন কেন্দ্রগুলি সাজিয়ে তোলার ক্ষেত্রে রাজ্য অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে।  খতিয়ান তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ৮৪ লক্ষ টাকা খরচে তারাবিতান নতুন করে সেজে উঠেছে। বাউল বিতানের কাজ সামান্য বাকি রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত কাজ শেষ করতে নির্দেশ দেন। এছাড়াও জেলায় দু’টি পৃথক সার্কিট গড়ে পর্যটনের মানচিত্রে বীরভূমকে তুলে ধরতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার।
  • Link to this news (বর্তমান)