• নবান্ন অভিযান ফ্লপ! জনসমর্থনের অভাবে পাততাড়ি গোটাল বিরোধীদের ঐক্য মঞ্চ
    বর্তমান | ২৯ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: প্রায় তিন হাজার লোক নিয়ে সোমবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল শিক্ষকদের দুই সংগঠন। পুলিসের তরফে বেআইনি ঘোষণা করা এই জমায়েতে শেষ পর্যন্ত মেরেকেটে লোক হয়েছিল কয়েকশো। তার উপর বৃষ্টি। সময় গড়াতেই সেই ভিড় হাল্কা হতে শুরু করে। ফলে ঝাঁঝ হারাল নবান্ন অভিযান। হাওড়ার তেলকল ঘাটের সামনে অবস্থানে বসলেও বিকেলের মধ্যেই পাততাড়ি গোটাতে বাধ্য হলেন আন্দোলনকারীরা। 

    এদিন সকাল ১০টা থেকে হাওড়া স্টেশনের ক্যাব রোডে ভিড় করতে শুরু করেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ, চাকরিজীবী, চাকরিহারা ও চাকরিপ্রার্থী ঐক্য মঞ্চ সহ চারটি সংগঠনের সদস্যরা। পুলিস বারবার মাইকিং করে হাইকোর্টের নির্দেশকে তুলে ধরে জমায়েত না করার জন্য অনুরোধ জানাতে থাকে। প্রথমদিকে হাজারের বেশি সদস্য এলেও পুলিসের মাইকিংয়ের পর ধীরে ধীরে হাল্কা হতে শুরু করে জমায়েত। বেলা ১টা নাগাদ রেল মিউজিয়াম পার করে মিছিল গ্র্যান্ড ফোরশোর রোডের দিকে এগয়। কিন্তু হাওড়া সিটি পুলিস আগে থেকেই সেখানে উঁচু ব্যারিকেড বসানোয় ওই সংগঠনগুলির সদস্যরা আর এগতে পারেননি। আন্দোলনকারীদের প্রতিরোধ করতে বিভিন্ন কমিশনারেট থেকে বিশাল বাহিনী আনা হয়েছিল। নবান্ন অভিযানে আসা লোকজন ব্যারিকেডের ১০০ মিটার আগেই তেলকল ঘাটের সামনে বসে পড়ে স্লোগান দিতে থাকেন। এরপর ভিড় আরও কমে যায়। আকাশ কালো হয়ে আসায় উল্টোদিকে হাঁটা দেন অনেকে। অবস্থানস্থলে আন্দোলনকারীদের সংখ্যা তখন মেরেকেটে তিন থেকে চারশো। এক সময় নেতৃত্বকে মাইকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনারা কেউ চলে যাবেন না। এই আন্দোলনকে সফল করতে সহযোগিতা করুন’। হাওড়া সিটি পুলিসের পদস্থ কর্তারা আন্দোলনকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও ভিড় থেকে নানা উস্কানিমূলক উক্তি শোনা যায়। কিন্তু প্ররোচনায় পা না দিয়ে ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামলান দক্ষ অফিসাররা। শেষমেশ প্রবল বৃষ্টিতে পণ্ড হল নবান্ন অভিযান। বাধ্য হয়ে অবস্থান তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সংগঠনগুলির নেতৃত্ব। তাঁরা বলেন, ‘আমরা আইন মেনেই সবটা করেছি। সমস্ত মঞ্চ মিলে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আগামী দিনে নবান্নের উপর অভিযানের ঢেউ বারবার আছড়ে পড়বে’।

    এদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে এদিন বেআইনি জমায়েত করায় পাল্টা আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে হাওড়া সিটি পুলিস। হাওড়ার পুলিস কমিশনার প্রবীণকুমার ত্রিপাঠী বলেন, ‘আমরা আগেই এই জমায়েতকে বেআইনি ঘোষণা করেছিলাম। এই সংক্রান্ত নির্দেশ রয়েছে হাইকোর্টের। তারপরেও বেআইনিভাবে জমায়েত করা হয়েছে। সব ছবি, ভিডিও প্রমাণ হিসেবে রাখা হয়েছে, যা হাইকোর্টে রিপোর্ট আকারে পেশ করা হবে’।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)