• নিটে উত্তীর্ণ স্বর্ণাভর স্বপ্নপূরণ কি অধরা?
    এই সময় | ২৯ জুলাই ২০২৫
  • সুমন ঘোষ, খড়্গপুর

    চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন কি তবে পূরণ হবে না বিশেষ ভাবে সক্ষম স্বর্ণাভর? সাফল্যের দোরগোড়ায় পৌঁছেও প্রশ্নটা কুরে কুরে খাচ্ছে ওই কৃতী ছাত্রী ও তাঁর পরিবারকে। কারণ, চিকিৎসকদের শংসাপত্র! কাউন্সেলিংয়ের আগে যা বাধ্যতামূলক।

    আর সেই পরীক্ষা করাতে গিয়েই চিকিৎসকদের কাছে শুনতে হলো, ‘স্বর্ণাভ বিশেষ ভাবে সক্ষমদের তালিকায় পঠনপাঠনের উপযুক্ত নন।’ চিকিৎসকরা তাঁদের মন্তব্যে উল্লেখ করেছেন, স্বর্ণাভ হুইল চেয়ার ছাড়া চলতে পারেন না। শরীরের নিম্নাংশ অসাড়।

    স্বর্ণাভ বেরা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার আনন্দপুরের বাসিন্দা। মাস্কুলার ডিসট্রফিতে আক্রান্ত হওয়ায় কোমর থেকে দু’টি পা অবশ। ভরসা ট্রাই সাইকেল। মনের জোরেই মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে তাক লাগানো নম্বর পেয়েছেন।

    তারপরেই চিকিৎসক হওয়ার লক্ষ্যে ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্টে বসেন। বিশেষ ভাবে সক্ষমদের তালিকায় তাঁর র‍্যাঙ্ক ৮০৭। স্বর্ণাভর বাবা সর্বরঞ্জন বেরার কথায়, ‘বিশেষ ভাবে সক্ষমদের জন্য সরকারি ভাবেই তিন হাজার আসন রয়েছে। সেই হিসেবে, আমার মেয়ের সরকারি কলেজেই পড়ার কথা। কিন্তু বাধ সাধল মেডিক্যাল রিপোর্ট।’

    তাঁর সংযোজন, ‘শুক্রবার এসএসকেএমে বিশেষ ভাবে সক্ষমদের পরীক্ষার জন্য বোর্ডের কাছে মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিলাম। তাঁরা ভালো ভাবে পরীক্ষা না-করেই বলে দিলেন, মেয়ে মেডিক্যাল পড়ার অনুপযুক্ত।’

    স্বর্ণাভর কথায়, ‘ওঁদের বললাম, আমি নিজে লিখতে-পড়তে পারি। আমার হাত ও মস্তিষ্ক পুরোপুরি সচল। প্রেসক্রিপশন লিখতে বা স্টেথোস্কোপ ধরতে সমস্যা হবে না। তবুও কেন এমন রিপোর্ট দিল বুঝতে পারছি না।’

    স্বর্ণাভর বাবার কথায়, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য পিডব্লিউবিডি-তে আবেদন জানিয়েছি। ‘মুখ্যমন্ত্রীকে বলো’তেও ফোন করেছি। জানি না, শেষ পর্যন্ত কী হবে।’

  • Link to this news (এই সময়)