• জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে খারাপ ডায়ালিসিস ও এক্স-রে মেশিন, দুর্ভোগে রোগীরা
    বর্তমান | ২৯ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে খারাপ মেশিনের জেরে দুর্ভোগে রোগীরা। মেশিন খারাপ থাকার জেরে মুখ থুবড়ে পড়েছে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ডায়ালিসিস পরিষেবা। ডায়ালিসিসের পাঁচটি মেশিনের মধ্যে সচল দু’টি। ফলে কিডনির রোগীদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। একজনের ডায়ালিসিস হতে গড়ে সময় লাগছে চারঘণ্টা। দু’টি মেশিনে পাঁচটি শিফ্ট করে দিনে সর্বোচ্চ দশজনের ডায়ালিসিস করানো সম্ভব হচ্ছে। ফলে ফিরে যেতে হচ্ছে অনেক রোগীকে।অন্যদিকে, খারাপ ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনও। তবে এক্ষেত্রে অভিযোগ আরও গুরুতর। রোগীদের দাবি, ডিজিটাল এক্স রে মেশিন খারাপ জেনেও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে রোগীদের পাঠানো হচ্ছে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে এসে রোগীরা দেখেন, এক্স রে রুমের তালাবন্ধ। দরজায় নোটিসে লেখা, মেশিন খারাপ।সদর হাসপাতালের এক্স রে রুমের সামনে দাঁড়িয়ে ময়নাগুড়ির বাসিন্দা সমাপ্তি শীল বলেন, ‘কোমরে ব্যথার জন্য মেডিক্যালের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আউটডোরে ডাক্তার দেখাই। সেখান থেকে এক্স রে লিখে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, সদর হাসপাতাল থেকে ওই এক্স রে হবে। কিন্তু এখানে এসে দেখছি, এক্স রে রুমের তালাবন্ধ।’ পাশে দাঁড়ানো জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের কাদোবাড়ির বাসিন্দা বছর পঁয়ষট্টির অপূর্ব পাল বলেন, ‘সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে আমাকে বলা হয়েছে সদর হাসপাতালে আমার শিরদাঁড়ার এক্স রে হবে। ওই হাসপাতাল থেকে এই হাসপাতালের দূরত্ব তিন কিমিরও বেশি। টোটো ভাড়া নিল ৩০ টাকা। এখানে এসে শুনছি, এক্স রে মেশিন খারাপ। তাহলে কেন এভাবে হয়রান করা হল?’বিষয়টি নিয়ে মেডিক্যালের সুপার ডাঃ কল্যাণ খাঁ বলেন, ‘সদর হাসপাতালে পিপিপি মডেলে ডিজিটাল এক্স-রে চলে। বেশ কিছুদিন ধরে সেখানে মেশিন খারাপ রয়েছে। এর পরও কেন সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে রোগীদের এক্স রে করানোর জন্য সেখানে পাঠানো হচ্ছে, খোঁজ নিচ্ছি।’ তাঁর দাবি, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এক্স রে পরিষেবা চালু রয়েছে। আউটডোরের রোগীদেরও সেখানেই প্রয়োজনে এক্স-রে করাতে হবে, এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপরও কেন রোগীদের সদর হাসপাতালে পাঠানো হল, তা নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছে জানতে চাওয়া হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)