গোবিন্দ রায়: সুপ্রিম রায়ে চাকরিহারাদের ভাতা মামলায় কলকাতার হাই কোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ। এবার ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য। তাঁদের যুক্তি, জীবন ধারণের জন্যই এই ভাতার সিদ্ধান্ত। সেটা দেওয়ার অধিকার রয়েছে।
বেলাগাম দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৬ সালের এসএসসির গোটা প্যালেন বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে চাকরি হারিয়েছেন ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী। পরবর্তীতে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুলে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন শিক্ষকরা। তবে গ্রুপ-সি ও ডি-এর ক্ষেত্রে পুরনো নির্দেশই বহাল রেখেছে শীর্ষ আদালত। তাঁদের পরিস্থিতি বিবেচনা করে মানবিকতার খাতিরে আপাতত অশিক্ষক কর্মীদের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সিদ্ধান্তকে বেআইনি দাবি করে কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হয় মামলা। সেই মামলায় রাজ্যের নির্দেশিকায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই এবার ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য। এদিন রাজ্যের তরফে করা মামলায় বলা হয়েছে, জীবন ধারণের জন্যই এই ভাতার সিদ্ধান্ত। সেটা দেওয়ার অধিকার রয়েছে। প্রসঙ্গত, সিঙ্গল বেঞ্চ ভাতা মামলায় স্থগিতাদেশ দেওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছিল তৃণমূল। দলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, “মানবিক মুখ্যমন্ত্রী যারা চাকরিহারা তাঁদের সংসার চালাতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ঘোষণার বিরুদ্ধে কারা আদালতে গেলেন? এদের চিনে রাখুন। আদালত নিয়ে তো কিছু বলতে পারব না। আদালতকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু আপনাদের বলব, বন্ধু তোমার পথের সাথীকে চিনে রাখো। কে পাশে থাকে, আর কারা চাকরি খাব, ভাতা পেতে দেব না, লোকের চোখের জল ফেলে বিরোধী রাজনীতি করব বলে তৈরি হয়ে বসে আছে। এদের চিনে রাখুন।” এবার নতুন করে আইনি লড়াইয়ে রাজ্য।