স্টাফ রিপোর্টার: বামেদের আরও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কথা বললেন ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। সোমবার সিপিআইয়ের মুখপত্র কালান্তর পত্রিকার প্রাক্তন সম্পাদক নৃপেন বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মরণে ভূপেশ ভবনে এক সভায় বিমান বলেন, ‘‘আরএসএস আমাদের বহুত্ববাদী সমাজকে ভাঙতে চাইছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধ দর্শনকে সামনে রেখে যারা চলেন তাদের সবার ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার।’’
সিপিআইয়ের কর্মসূচিতে গিয়ে বাম ঐক্যকে জোর দেওয়ার আহ্বান জানান প্রবীণ সিপিএম নেতা। বাম ঐক্যের গুরুত্বের কথা উঠে এসেছে সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণেও। স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বামপন্থীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাম আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। না হলে বিজেপির মতো শক্তিকে পরাজিত করা যাবে না।’’ সিপিআই রাজ্য সম্পাদক এটাও স্বীকার করে নেন, বামপন্থীরা সবাই এখনও এক ছাতার তলার আসতে পারেনি। এই সভায় ছিলেন শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুখবিলাস শর্মা, মনোজ ভট্টাচার্য, নরেন চট্টোপাধ্যায়, তরুণ মণ্ডল প্রমুখ। অন্যদিকে, ভিন রাজ্যে বাঙালিদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে সোমবার দক্ষিণ কলকাতায় মহামিছিল করে সিপিএম।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল অনেক আগেই পথে নেমেছে। আর বিলম্বে বোধোদয় সিপিএমের। সোমবার রাতে রুবি মোড় থেকে গড়িয়াহাট পর্যন্ত মিছিল করল সিপিএম। সোমবার দুপরেই অবশ্য আমজনতাকে সঙ্গে নিয়ে বোলপুরে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মাটি থেকে প্রতিবাদ মিছিল করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার থেকেই রাজ্যজুড়ে তৃণমূল কর্মীরা ভাষা আন্দোলনে শামিল হয়ে মিছিল, সভা শুরু করে দিয়েছেন। এই ইস্যুতে কলকাতায় সিপিএমের বিলম্বিত মিছিল কেন, তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন উঠেছে পার্টির নিচুতলাতেও। রুবি মোড় থেকে এদিন সিপিএমের মহামিছিলে ছিলেন পার্টির রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম-সহ কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, কল্লোল মজুমদার প্রমুখ নেতৃত্ব। রাজ্যে রাজ্যে আরএসএস ও বিজেপি যেভাবে বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচার করছে তার প্রতিবাদে আওয়াজ ওঠে সিপিএমের মিছিল থেকে।