• তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হেনস্তা, ধৃত স্কুলের সাফাইকর্মী
    বর্তমান | ৩০ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: স্কুলে যৌন হেনস্তার শিকার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। ঘটনাটি শিলিগুড়ির প্রধাননগরের একটি নামী স্কুলের প্রাথমিক বিভাগের। এমন ন্যক্কারজনক ঘটনায় অভিযুক্ত স্কুলেরই সাফাইকর্মী। সোমবার ঘটনাটি ঘটলেও প্রকাশ্যে আসে মঙ্গলবার। জানাজানি হতেই অভিভাবকরা স্কুলে গিয়ে তুমুল বিক্ষোভ করেন। তাদের চাপে পড়ে পুলিস এদিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম পাপ্পু বাসফোর। তার বাড়ি ডিআরআই কলোনিতে।

    সোমবার ওই পড়ুয়া শৌচাগারে গেলে তাকে অভিযুক্ত যৌন হেনস্তা করে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর বিষয়টি শিক্ষককে জানায় ওই শিশু। এরপর বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদেরও ঘটনার কথা সে বলে। এরপর স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন অভিভাবকরা। অভিযোগ, ঘটনার কথা জানার পরেও স্কুল কর্তৃপক্ষ থানার দ্বারস্থ হয়নি। এরপরই মঙ্গলবার সকাল থেকে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। তাঁরা স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এমনকী অভিযুক্তকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানান। প্রিন্সিপালের ঘরের সামনে জড়ো হয়ে অভিভাবকদের একাংশ রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরপরেই প্রধাননগর থানার পুলিসকে খবর দেওয়া হলে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে হেফাজতে নেয়। যদিও স্কুল থেকে অভিযুক্তকে বের করে থানায় নিয়ে যেতে যথেষ্ট চাপের মুখে পড়তে হয় পুলিসকে। অভিভাবকদের একাংশ পুলিস ভ্যান ঘিরে অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। যদিও কোনওমতে অভিযুক্তকে সেখান থেকে নিয়ে যায় পুলিস। 

    পরে তৃতীয় শ্রেণির ওই পড়ুয়ার অভিভাবকের তরফে পাপ্পু বাসফোরের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। শুধুমাত্র তাই নয়, স্কুল কর্তৃপক্ষ কেন বিষয়টিকে হালকাভাবে নিয়েছে এবং পুলিসের দ্বারস্থ হয়নি, তা নিয়ে সরব হন। স্কুলের প্রিন্সিপাল বলেন, বিষয়টি শোনার পর ছাত্রীর অভিভাবকদের সঙ্গে কথা হয়েছিল। অভিযুক্ত যাতে পালিয়ে না যায়, তারজন্য ওকে এদিন সকাল সকাল স্কুলে আসতে বলা হয়েছিল। পুলিসকে জানানোর আগেই এদিন অভিভাবকরা এসে বিক্ষোভ দেখান। স্থানীয় ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার গার্গী চট্টোপাধ্যায় স্কুলে এসে বলেন, ভীষণ দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। স্থানীয় কাউন্সিলার হলেও আমাকে ঘটনাটা জানায়নি। সোমবারই এটা স্কুলের তরফে পুলিসকে জানানো উচিত ছিল। 

    শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের ডিসিপি (পশ্চিম) বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে একটি স্কুলের সাফাইকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছি। তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।  
  • Link to this news (বর্তমান)