পানিট্যাঙ্কিতে ধৃত চীনা নাগরিকের হেফাজত থেকে উদ্ধার একাধিক পাসপোর্ট, পরিচয়পত্র
বর্তমান | ৩০ জুলাই ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি ও সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: সুইজারল্যান্ডের দু’টি পাসপোর্ট। তাতে ভিন্ন ভিন্ন নাম। এর বাইরেও একাধিক পরিচয়পত্র। শিলিগুড়ির নেপাল সীমান্ত পানিট্যাঙ্কিতে ধৃত এহেন চীনা নাগরিকের ভূমিকা সন্দেহজনক। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, চীন ও পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির উদ্দেশ্যেই শিলিগুড়িতে প্রবেশ করে ধৃত। যার টার্গেট ‘চিকেনস নেক’ এর তথ্য সংগ্রহ করে পাচার করা বলেই মনে হচ্ছে।
দার্জিলিংয়ের পুলিস সুপার প্রবীণ প্রকাশ অবশ্য বলেন, ধৃতের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনার সমস্ত দিক গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উত্তরবঙ্গ তো বটেই, দেশের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান ‘চিকেনস নেক’ শিলিগুড়ি। যা উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেদ্বার। বহুদিন ধরে এই করিডরই টার্গেট ভারত বিরোধী শক্তির। এমন প্রেক্ষাপটে নেপাল সীমান্তে ধৃত চীনা নাগরিককে গুপ্তচর হিসেবেই গোয়েন্দাদের সন্দেহ। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতের কাছ থেকে সুইজাল্যান্ডের দু’টি পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়। একটি পাসপোর্ট খামৃতস্যাং সতেন গুরমের নামে। অপরটিতে সেনগেটসং কর্মা জিমি নাম রয়েছে। দু’জনের বয়সও আলাদা। সেখানে চীনা নাগরিক হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। একটি পাসপোর্ট অনুসারে ওই চীনা নাগরিক ১৯৭৪ সালের ৯ জানুয়ারি ভারতের দেরাদুনে জন্মগ্রহণ করেছে। পাশাপাশি নেপালের পরিচয়পত্রে নগাওয়াং ছোদের লামা নাম রয়েছে। এমনকী, ধৃতের মোবাইল ফোন থেকে পাকিস্তানের ভিসার আবেদনপত্রও মিলেছে।
সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি নিয়েই গোয়েন্দাদের সন্দেহ,ধৃত চীনা নাগরিক গুপ্তচরবৃত্তির সঙ্গে জড়িত। সম্ভবত চীন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের হয়ে চিকেনস নেকে ঘাঁটি গাড়ার ছক কষেছিল সে। এখানকার সেনা ছাউনি সহ রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বিভিন্ন এজেন্সি, রেল স্টেশন, বিমানবন্দর, সীমান্তের অবস্থা প্রভৃতি তথ্য পাচার করত বলেই মনে হচ্ছে।
২৪ ঘণ্টা আগে সোমবার পানিট্যাঙ্কি থেকে ওই চীনা নাগরিককে পাকড়াও করে এসএসবির ৪১ নম্বর ব্যাটালিয়ন। তারা ধৃতকে খড়িবাড়ি থানার হাতে তুলে দেয়। মঙ্গলবার ধৃতকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। ধৃতকে পাঁচদিন পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পুলিসের তদন্তকারী এক অফিসার বলেন, ধৃতের কাছ থেকে একটি ফোন বাজেয়াপ্ত হয়েছে। সেখানেএকটি ভারতীয় ও একটি নেপালের সিম ছিল। ধৃত নিজেকে তিব্বতের নাগরিক বলে দাবি করলেও কোনও প্রমাণপত্র দেখাতে পারেনি।