না জানিয়েই ২৬ লক্ষে ফ্ল্যাট বিক্রি প্রমোটারের, থানায় মালিক-ক্রেতা
বর্তমান | ৩০ জুলাই ২০২৫
সংবাদদাতা, বালুরঘাট: শর্ত থাকা সত্ত্বেও জমির মালিককে না জানিয়েই বালুরঘাট শহরে বহুতলের একটি ফ্ল্যাট বিক্রির অভিযোগ উঠেছে প্রমোটারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, জমির মালিককে না জানিয়েই প্রমোটার ২৬ লক্ষ টাকায় একজনকে ফ্ল্যাট বিক্রি করেছেন। একেবারে ওই ফ্ল্যাটের দলিল পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। যা অবৈধ। ওই দলিল অবৈধ বুঝতে পেরেই ফ্ল্যাটের ক্রেতা বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন। একইভাবে জমির মালিকও ওই প্রমোটারের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জমির মালিকের অভিযোগ, তাঁকে পুরোপুরি অন্ধকারে রেখেই ওই ফ্ল্যাট বিক্রি করেছেন প্রমোটার। এনিয়ে ক্রেতাও বালুরঘাট থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। ডিএসপি (সদর) বিক্রম প্রসাদ বলেন, মামলা শুরু হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছি আমরা।
প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে জমির মালিককে না জানিয়ে ফ্ল্যাট বিক্রি করে দলিল দেওয়া যায়? রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে খবর, এনিয়ে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তও শুরু হয়েছে। সবপক্ষকেই হেয়ারিংয়ের জন্য ডাকা হয়েছে। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করছেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিক।
এবিষয়ে অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সাব রেজিস্ট্রার (বালুরঘাট) দীপাঞ্জন সাহা বলেন, অভিযোগ পেয়ে সব পক্ষকেই ডেকেছিলাম। দপ্তরের তরফে কোনওরকম খামতি নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিস সূত্রে খবর, বালুরঘাট শহরে একটি বহুতল নির্মাণ হয়েছে। ওই জমির মালিক দেবব্রত সরকার। প্রমোটার বিমলকৃষ্ণ সরকার পাঁচতলা ভবন নির্মাণ করেছেন। চুক্তি অনুযায়ী, ফ্ল্যাট বিক্রির ৬২ শতাংশ অর্থ পাবেন প্রমোটার। বাকি ৩৮ শতাংশ জমির মালিক পাবেন। কিন্তু একটি ফ্ল্যাট জমির মালিককে না জানিয়েই প্রমোটার বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। এক মহিলা সেটি ২৬ লক্ষ টাকায় কিনেছেন। পরে তিনি জানতে পারেন ফ্ল্যাটটি বিতর্কিত এবং দলিলটি অবৈধ। যদিও ওই মহিলা ও তাঁর স্বামীকে ফোন করা হলেও কিছু বলতে চাননি।
জমির মালিক দেবব্রত সরকার বলেন, ফ্ল্যাট বিক্রির ক্ষেত্রে কোনওরকম পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রমোটারকে দিইনি। তা সত্ত্বেও অবৈধভাবে একটি ফ্ল্যাট বিক্রি করেছেন।
বিমলকৃষ্ণ বলেন, দেবব্রতবাবু আমার কাছ থেকে আগেই অনেক টাকা নিয়ে রেখেছেন। তাঁর অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। অবৈধভাবে কোনও কাজ করিনি। এই আবাসনের একটি ফ্ল্যাট বিক্রি নিয়ে বিতর্ক। - নিজস্ব চিত্র।