এডিএমের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে ‘খুনের চেষ্টা’র অভিযোগ, জলপাইগুড়িতে মামলা রুজু , তদন্ত শুরু
বর্তমান | ৩০ জুলাই ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: এক অতিরিক্ত জেলাশাসকের (এডিএম) বিরুদ্ধে স্ত্রীকে ‘খুনের চেষ্টা’র অভিযোগ উঠল। এ ঘটনায় ওই পদস্থ আধিকারিকের স্ত্রী (যিনি নিজেও একজন প্রশাসনিক আধিকারিক) জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যার ভিত্তিতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি জলপাইগুড়ির ওই এডিএমের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে পুলিস। তাঁর কাছে ইতিমধ্যেই পুলিসের তরফে ঘটনাটি জানতে চাওয়া হয়েছে। জেলা পুলিস সুপার খণ্ডবাহালে উমেশ গণপত বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে পুলিস তদন্তে নেমেছে। এর বেশি আর কিছু বলা সম্ভব নয়।
স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেও ওই এডিএমের স্ত্রী অবশ্য প্রকাশ্যে এনিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ। চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। গোটা ঘটনায় জেলা প্রশাসনের কর্তারা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। এদিন বিষয়টি নিয়ে জানতে চেয়ে জেলাশাসক শমা পারভীনকে মেসেজ করা হলে তিনি বলেন, এটা একান্তই পারিবারিক বিষয়। তাই কোনও মন্তব্য করব না।
যদিও যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই এডিএম মঙ্গলবার রাতে ফোনে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা অনভিপ্রেত। প্রত্যেকের সংসারেই কিছু না কিছু সমস্যা থাকে। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে ‘খুনের চেষ্টা’র মতো যে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন স্ত্রী, তার কোনও ভিত্তি নেই।
ঘটনার পিছনে কারও উস্কানি বা ইন্ধন রয়েছে কি না, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ওই আধিকারিক। বলেন, পুলিস আমার কাছে এসেছিল। তারা বিষয়টি জানতে চায়। যেটা প্রকৃত ঘটনা, সেটাই বলেছি। তদন্তে পুলিসকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। আমিও চাই প্রকৃত ঘটনা সামনে আসুক।
থানায় দায়ের হওয়া মামলার জেরে মানসিকভাবে তিনি ভেঙে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের ওই পদস্থ আধিকারিক। যদিও তিনি নিয়মিত অফিস করছেন। ওই আধিকারিক বলেন, উপর মহল থেকে যা নির্দেশ আসবে, সেটাই পালন করব। নিয়মিত অফিস করছি। এদিকে, ঘটনার পর থেকে ওই পদস্থ আধিকারিকের স্ত্রী বাড়িতে থাকছেন না। জলপাইগুড়িতেই তিনি একটি সরকারি ভবনে মেয়েকে নিয়ে রয়েছেন বলে সূত্রের খবর। এ প্রসঙ্গে এডিএম বলেন, আমার আট বছরের মেয়ে রয়েছে। তাকে নিয়ে গিয়েছেন স্ত্রী। জলপাইগুড়িতেই তিনি আছেন বলে জেনেছি।