তিন বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ও সহবাস, প্রেমিক বিবাহিত জেনে ধর্ষণের অভিযোগ
বর্তমান | ৩০ জুলাই ২০২৫
সংবাদদাতা, বালুরঘাট: তিন বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার যুবতীর সঙ্গে যুবকের সহবাস। এরপরও বিয়ে করতে নারাজ প্রেমিক। হঠাৎ প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে যুবতী জানতে পারেন, তার আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বাড়িতে রয়েছেন বিবাহিত স্ত্রী। এমন ঘটনা শুনে চক্ষু চড়কগাছ প্রেমিকার। এদিকে বাড়িতে প্রেমিকা আসতেই পালিয়ে মামার বাড়িতে আশ্রয় নেয় প্রেমিক। সেই বাড়িতে প্রেমিকা ও তাঁর পরিবার প্রতিবাদ করতে গেলে যুবক ও তার পরিবারের হাতে হেনস্তা ও মারধরের শিকার হন। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বালুরঘাটের গোবিন্দপুরে। এনিয়ে ওই যুবতী বালুরঘাট থানায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত শুরু করেছে বালুরঘাট থানার পুলিস।
ডিএসপি (সদর) বিক্রম প্রসাদ বলেন, পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিস সূত্রে খবর, ওই যুবতীর বাড়ি বালুরঘাটের একটি গ্রামে। ওই যুবতীর গ্রামেই কাজ করতে আসত অভিযুক্ত যুবক। তার বাড়ি বালুরঘাটের আর একটি গ্রামে। ধরে ধীরে যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ২৫ বছর বয়সি ওই যুবতীর। অভিযোগ, সম্পর্ক থাকাকালীন একাধিকবার ওই যুবতীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে মাঝেমধ্যে ওই যুবতীকে বিয়ে করবে বলে নানাভাবে প্রতিশ্রুতি দেয় অভিযুক্ত। কিন্তু তাঁকে বিয়ে করতে রাজি হয়নি যুবক। এনিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে যুবকের বেশ কয়েকদিন ধরে মন কষাকষি চলছিল। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগও রাখছিল না। মঙ্গলবার বালুরঘাটে যুবকের বাড়ির ঠিকানায় গিয়েছিলেন যুবতী, তাঁর মা ও দিদি। সেই বাড়িতে গিয়ে জানতে পারেন প্রেমিক সম্প্রতি বিয়ে করেছে। এরপরেই মাথা ঘুরে যায় প্রেমিকার। যুবকের খোঁজখবর করতে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, সে তার মামার বাড়িতে রয়েছে। বালুরঘাটের চকভৃগুতে সেই বাড়িতে গিয়ে পৌঁছন প্রেমিকার মা, দিদি ও প্রেমিকা। সেখানে যেতেই ওই যুবক ও তার মামার বাড়ির লোকজন তিনজনকে অপমান করে। প্রতিবাদ করলে তাঁদের মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এনিয়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। তাঁরা ওই বাড়ি থেকে মার খেয়ে বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যুবতী বলেন, আমাকে বিয়ের মিথ্যে কথা বলে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছে। এখন জানতে পারছি সে বিয়ে করেছে অন্য মেয়েকে। তার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। যুবতীর মা বলেন, আমি অসুস্থ। আমাকেও মারধর করা হয়েছে। ওই যুবকের কঠোর শাস্তি চাই।