• শহরে দম্পতির রহস্যমৃত্যুর তদন্তে ফরেন্সিকের সাহায্য চাইল পুলিস
    বর্তমান | ৩০ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: শহরের পান্ডাপাড়ায় দম্পতির রহস্যমৃত্যুর তদন্তে ফরেন্সিকের সাহায্য চাইল পুলিস। গত ২৮ জুন সকালে জলপাইগুড়ির ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে এক রেলকর্মী ও তাঁর স্ত্রীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় আলোড়ন ছড়ায়। সানি রাউত (৩৭) নামে ওই রেলকর্মীকে গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিস। তাঁর স্ত্রী নন্দিতা রাউতের (৩০) দেহ ঘরে খাটে শোওয়া অবস্থায় ছিল। 

    প্রাথমিকভাবে পুলিসের সন্দেহ হয়, স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন ওই রেলকর্মী। যদিও ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বেশকিছু তথ্য সামনে এনে ওই দম্পতির রহস্যমৃত্যুর পিছনে তৃতীয় কোনও ব্যক্তির হাত থাকতে পারে বলে দাবি করে মৃত রেলকর্মীর পরিবার। এনিয়ে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় তাঁরা বিষয়টি জানিয়ে উপযুক্ত তদন্তের দাবি করেন। মৃত রেলকর্মীর পরিবার জানায়, যে ঘর থেকে ওই দম্পতির দেহ উদ্ধার হয়, সেটির দরজা খোলা ছিল। ফলে দরজা খোলা রেখে স্ত্রীকে খুনের পর আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা বিশ্বাসযোগ্য নয়। এছাড়াও ঘরের ভিতর রক্তের দাগ মোছার চেষ্টা হয়েছে বলেও প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এতেই ঘটনার পিছনে তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতি নিয়ে তাঁদের সন্দেহ জোরালো হয়েছে। 

    মামলার তদন্তকারী অফিসার বিনয় যাদব বলেন, পান্ডাপাড়ায় দম্পতির দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ইতিমধ্যে আমাদের হাতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট চলে এসেছে। তাতে নন্দিতা রাউতকে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে। এমনকী তাঁর মুখে প্রচুর আঁচড়ের দাগ পাওয়া গিয়েছে। এনিয়ে আমরা মামলা রুজু করে তদন্ত চালাচ্ছি। ফরেন্সিকের সাহায্য চাওয়া হয়েছে। মহিলার মোবাইলটি থানায় রয়েছে। সেটির কললিস্টও খতিয়ে দেখা হবে।

    দেহ উদ্ধারের দিন মৃত মহিলার বাবা দাবি করেন, জামাই সন্দেহ করতেন তাঁর মেয়েকে। ফলে মেয়ের মৃত্যুর পিছনে জামাইয়ের হাত থাকতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। তদন্তে পুলিসও জানতে পেরেছে, ওই দম্পতির মধ্যে সেভাবে বনিবনা ছিল না। ঘটনার আগের দিন রাতে বাড়ির কাছে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন নন্দিতা। সেখান থেকে তাঁকে চুলের মুঠি ধরে টানতে টানতে বাড়িতে নিয়ে আসেন সানি। এনিয়ে ওই দম্পতির প্রতিবেশীদের সঙ্গেও কথা 

    বলেছে পুলিস।
  • Link to this news (বর্তমান)