১০০ কোটি হাতিয়ে নিয়েছে ধৃত তিন সাইবার প্রতারক, চক্রের অন্যদের খোঁজে ভিনরাজ্যে তল্লাশি পুলিসের
বর্তমান | ৩০ জুলাই ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: ঝাড়খণ্ড থেকে মুর্শিদাবাদের ডোমকলে আস্তানা গেড়েছিল সাইবার প্রতারকরা। সাধারণ মানুষের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট হাতিয়ে অন্তত ১০০ কোটি টাকার প্রতারণা করেছে জামতাড়া গ্যাংয়ের সদস্যরা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস এমনই তথ্য পেয়েছে। তদন্ত যতই এগচ্ছে, প্রতারণা করা টাকা লেনদেনের ভূরিভূরি তথ্য পাচ্ছেন পুলিসের আধিকারিকরা। ডোমকলের একটি ভাড়াবাড়িতে বসে এভাবেই গোটা দেশে সাইবার প্রতারণার জাল বিস্তার করেছিল ঝাড়খণ্ডের তিন বাসিন্দা। হাইস্পিড ইন্টারনেট কানেকশন লাগিয়ে কয়েকটি মোবাইল ও ল্যাপটপ থেকে এই প্রতারণা চক্র চলছিল। গত বৃহস্পতিবার ডোমকল পুরসভা এলাকার ওই বাড়িতে আচমকাই হানা দেয় পুলিস। হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় সালামুদ্দিন আনসারি, কালামুদ্দিন আনসারি এবং নিয়াজ আনসারি। তিনজনেরই বাড়ি ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ১০০টি এটিএম কার্ড, ৬০টি ব্যাঙ্ক পাসবই, একাধিক মোবাইল, বহু সিমকার্ড ও কম্পিউটার। তাদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে একাধিক তথ্য পেয়েছে পুলিস। অভিযুক্তরা কোনও এলাকাতেই বেশিদিন থাকত না। ঝাড়খণ্ড থেকে এসে মুর্শিদাবাদে সীমান্তবর্তী ডোমকল এলাকায় তারা আস্তানা গেড়েছিল। তারপর আবার ফের অন্যত্র গিয়ে একই কাজ করার পরিকল্পনা ছিল।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অনলাইনে কেওয়াইসি আপডেট, ব্যাঙ্ক পরিষেবার আরও উন্নতি, কিংবা লোনের টোপ দিয়ে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলা হতো। হাতিয়ে নেওয়া হতো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, এটিএম কার্ড, সিম সহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তারপর সেই তথ্য ব্যবহার করে চলত কয়েক কোটি টাকার বেআইনি লেনদেন। এইভাবে এক একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তারা প্রচুর টাকা হাতিয়েছে। তা দেখে তদন্তকারীদের চোখ কপালে উঠেছে।
সূত্রের খবর, ১৮ জুলাই বহরমপুরের মল্লিকপাড়ার বাসিন্দা এক মহিলা সাইবার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি জানান, মুকলেশ হোসেন নামে এক ব্যক্তি ২৫ জুন তাঁর কেওয়াইসি আপডেট করার নাম করে পাসবই, এটিএম, সিমকার্ড সব নিয়ে নেয়। কিছুদিনের মধ্যে তাঁর নামে বেআইনি লেনদেনের অভিযোগে সাইবার থানার তরফে নোটিস আসে। তৎক্ষণাৎ তিনি সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমেই পুলিস ওই সাইবার প্রতারণা মামলায় প্রথমে গ্রেপ্তার করে মুকলেশ হোসেন নামে বহরমপুরের রাজধরপাড়ার এক বাসিন্দাকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে আসে ডোমকলে আস্তানা গেড়ে থাকা দেওঘরের ওই তিন যুবকের নাম। মুকলেশই ওই তিনজনকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য জোগাড় করে দিত। বিভিন্ন জায়গা থেকে হাতিয়ে সেই অ্যাকাউন্টগুলিতে টাকা ঢোকাত সাইবার প্রতারকরা।
এদিকে সাধারণ মানুষ জানতেই পারত না যে, তাদের অ্যাকাউন্টে কীভাবে বা কারা টাকা পাঠাচ্ছে। মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিসের সাইবার থানার এক আধিকারিক বলেন, ওই তিনজনকে সাতদিনের হেফাজতে নেওয়ার পর আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক তথ্য পেয়েছি। ইতিমধ্যে অন্তত ১০০ কোটি টাকার প্রতারণার প্রমাণ মিলেছে। এই আর্থিক