সাফাইয়ের পর আবর্জনা ফেললেই মোটা অঙ্কের জরিমানা, নোটিস পাঠানো শুরু
বর্তমান | ৩০ জুলাই ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: বাঁকুড়া শহর পরিষ্কার রাখতে কড়া পদক্ষেপ করছে পুরসভা। সাফাইয়ের পর শহরের যত্রতত্র জঞ্জাল ফেললে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে চিহ্নিত করে পুরসভা নোটিস পাঠিয়েছে। অভিযুক্তদের হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন তাঁরা বাড়ির আবর্জনা শহরের রাস্তার পাশে ফেলেছেন, সে ব্যাপারে পুর কর্তৃপক্ষ কৈফিয়ত তলব করেছে। যথাযথ উত্তর না দিতে পারলে জরিমানা করা হবে। জরিমানার অঙ্ক এক হাজার থেকে শুরু। ঊর্ধ্বসীমা এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে বলে পুরসভার কর্তারা আভাস দিয়েছেন। মঙ্গলবার বাঁকুড়া শহরের খ্রিস্টান কলেজ মোড় সংলগ্ন একটি ভ্যাটে গিয়ে গাছের কাটা ডালপালার স্তূপ নজরে পড়ে। তা নিয়েই মূলত পুর কর্তৃপক্ষের আপত্তি। ডালপালা ভ্যাটের পাশে রাস্তার উপর ডাঁই করে কেউ বা কারা রেখে গিয়েছে। তার ফলে রাস্তা দিয়ে হাঁটাচলা ও যানবাহনের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছিল। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের তরফে পুরসভার কাছে অভিযোগ জানানো হয়। তখনই পুর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে কড়া অবস্থান নেওয়ার কথা জানিয়ে দেয়।
বাঁকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অলকা সেন মজুমদার বলেন, দৈনিক সকালে নির্মল সাথী ও নির্মল বন্ধুরা বাড়ি বাড়ি জঞ্জাল সংগ্রহ করে থাকেন। সেই জঞ্জাল ওয়ার্ডের ভ্যাটে গিয়ে জমা হয়। সেখান থেকে সাফাই কর্মীরা গাড়িতে চাপিয়ে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে নিয়ে যান। অফিস টাইমের আগেই আমরা শহর পরিষ্কার করে দিই। কিন্তু তারপর বাসিন্দাদের একাংশ বাড়ির জঞ্জাল, আবর্জনা যত্রতত্র ফেলে দিচ্ছে। তার ফলে শহর অপরিচ্ছন্ন হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এদিন কলেজ মোড় সহ কয়েকটি জায়গায় ডালপালা ফেলা ও আবর্জনা জমার অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা কড়া পদক্ষেপ করেছি। ওইসব ঘটনার পিছনে কারা রয়েছে তা চিহ্নিত করে নোটিস পাঠানো হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে জরিমানা করা হবে।
জঞ্জাল ফেলায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তি বলেন, বর্ষায় বাড়ির গাছপালা বেড়ে গিয়েছিল। গোটা বাড়ি ঝোপজঙ্গলে ভরে গিয়েছিল। সেসব পরিষ্কার করতে এদিন সকালেই শ্রমিক লাগিয়েছিলাম। কিন্তু কাজ শেষ করতে দুপুর হয়ে যায়। সেই কারণে পুরসভার ভ্যাটের পাশে ওই জঞ্জাল ফেলে দিয়েছিলাম। নোটিস পেলে পুরসভায় গিয়ে দেখা করব।
পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে দিনের পাশাপাশি রাতেও বাঁকুড়া পুর কর্তৃপক্ষ শহরের জঞ্জাল সাফাইয়ের ব্যবস্থা করেছে। তবে ওই পরিষেবা শুধুমাত্র বাজার এলাকার জন্য। দিনভর হাটে-বাজারে বেচাকেনা চলার ফলে অনেক আবর্জনা জমা হয়। সেগুলি ব্যবসায়ীরা দোকানের সামনে রাখা ডাস্টবিনে জমা করেন। তা সাফাইকর্মীরা রাত ৯টার পর গিয়ে গাড়িতে চাপিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে যান। সেখান থেকে পরদিন সকালে সেই জঞ্জাল
ডাম্পিং গ্রাউন্ডে চালান করে দেওয়া হয়। -নিজস্ব চিত্র