• বনগাঁর স্কুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে সাপ, তীব্র আতঙ্কে পড়ুয়া থেকে শিক্ষিকারা
    বর্তমান | ৩০ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বনগাঁ: মিড ডে মিল রান্নার ঘরে দেওয়ালের ফাটল থেকে উঁকি দিচ্ছে গোখরো সাপ। কখনও ছাত্রীদের যাতায়াতের রাস্তায়। কখনও সিঁড়ির নীচে। স্টাফ রুমের দরজা খুললেই দেখা মিলছে সাপের। একটা দুটো নয়, একাধিক বিষধর সাপের বাচ্চা ঘুরে ঩বেড়াচ্ছে। ভয়ে স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে ছাত্রীরা। আতঙ্কে রয়েছেন বনগাঁ কালীচরণ হাওলাদার বালিকা বিদ্যাপীঠের শিক্ষিকারাও।

    বিষধর সাপের ভয়ে লাটে উঠেছে স্কুলের পঠনপাঠন। বনগাঁ কালীচরণ হাওলাদার বালিকা বিদ্যাপীঠে সাপের আতঙ্কে বন্ধ পড়াশোনা। স্কুলে আসছে না ছাত্রীরা। ভয়ে ভয়ে স্কুলে ঢুকে হাতে লাঠি ও টর্চ লাইট নিয়ে পা তুলে চেয়ারে বসে থাকছেন শিক্ষিকারা। বিষয়টি ইতিমধ্যে প্রশাসনের সমস্ত দপ্তরে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন শিক্ষিকারা। বনদপ্তরেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। বনদপ্তরের পক্ষ থেকে দু’টি সাপ ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারপরও স্কুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে একাধিক গোখরো সাপের বাচ্চা। মঙ্গলবারও স্কুলের ঘরে সাপ ঘুরতে দেখা যায়। দু’দিন আগেই স্টাফ রুমের দরজা খুলে একটি গোখরো সাপ দেখতে পান ভূগোলের শিক্ষিকা অর্পিতা বারুই। ভয়ে দৌড়ে স্কুলের বাইরে চলে যান তিনি। ওই শিক্ষিকা বলেন, এখন স্কুলে ঢুকতে ভয় করছে।

    এই স্কুলে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। মোট ছাত্রী সংখ্যা ১৩০ জন। শিক্ষিকা ১২ জন। দুজন শিক্ষাকর্মী রয়েছেন। পঞ্চাশ বছরেরও বেশি পুরনো এই স্কুলেই বাসা বেঁধেছে বিষধর গোখরো। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকা অঞ্জনা বিশ্বাস দাস বলেন, ‘আমরা ভয়ে রয়েছি। ছাত্রীরা স্কুলে আসছে না। কখন কি হয়ে যায় কে জানে। এদিকে, সোমবার থেকেই স্কুলে পরীক্ষা শুরু হবে।’ তাহারণ খাতুন মণ্ডল নামে এক অভিভাবক বলেন, সাপ দেখলে আমাদেরই ভয় লাগে। সেখানে সন্তানদের কীভাবে স্কুলে পাঠায়। বনগাঁ ব্লকের এক আধিকারিক বলেন, ‘স্কুলের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানতে পেরেছি। বনদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। স্কুল পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে।’ বনগাঁ মহকুমা ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার সঙ্গীতা ভৌমিক বলেন, বেশ কয়েকদিন স্কুলে গিয়ে কয়েকটি সাপ ধরে এনেছি। স্কুলের পক্ষ থেকে খবর পেলেই কর্মীরা ছুটে যাচ্ছেন।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)