এসআইআর মামলায় যুক্ত হতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার
দৈনিক স্টেটসম্যান | ৩০ জুলাই ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি– বিহারের মতো বাংলাতেও ভোটার তালিকায় কমিশনের কাঁচি চালানোর আশঙ্কা। তাই সময় থাকতেই এসআইআর মামলায় যুক্ত হতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার। এ বিষয়ে রাজ্য ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতে একটি আবেদন জানিয়েছে। ফলে এই মামলায় দুটি বিষয় রাজ্যকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাতে চলেছে। এক, বাংলায় নির্বাচন কমিশনের নিবিড় সমীক্ষার সম্ভাবনা। দুই, এসএসসি থেকে ওবিসি– সম্প্রতি একের পর এক মামলায় শীর্ষ আদালতে রাজ্যের স্বস্তি।
এই বিষয়ে প্রথম মামলা দায়ের করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি বিহারে চলা নির্বাচন কমিশনের বিশেষ ও নিবিড় সমীক্ষার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন। এবার সেই মামলায় রাজ্য সরকার যোগ দেওয়ায় বাড়তি অক্সিজেন জোগাতে চলেছে। মঙ্গলবার বিচারপতি সূর্যকান্তের বেঞ্চে রাজ্যের পক্ষ থেকে আইনজীবী কপিল সিব্বল নির্বাচনের কমিশনের এই মামলায় যোগদানের জন্য আবেদন জমা দেন। আগামী ১২ ও ১৩ আগস্ট মামলার শুনানির সম্ভবনা। দিল্লির পক্ষ থেকে এমনটাই খবর পাওয়া গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলায় এখনও নির্বাচন কমিশনের নিবিড় ভোটার সমীক্ষার কাজ শুরু হয়নি। তবে ভাবগতিক দেখে মনে হচ্ছে, প্রাথমিকভাবে কমিশন গুটি গুটি পায়ে সেদিকেই এগোচ্ছে। কারণ বিহারে ভোটার তালিকা সমীক্ষার শুরুর আগে কমিশনের ওয়েবসাইটে ২০০৩ সালের দেওয়া শেষ সমীক্ষার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। এবার বাংলাতেও দেখা গেল একই কৌশল। এ রাজ্যে শেষবার ভোটার তালিকার বিশেষ ও নিবিড় সমীক্ষা হয়েছিল ২০০২ সালে। ইতিমধ্যেই কমিশন রাজ্যের ১০৯টি বিধানসভা কেন্দ্রের নাম ও ভোটার নথি সেই তালিকায় জুড়ে দিয়েছে।
সম্প্রতি, বাংলায় স্বতন্ত্রতা দাবির পর ২০০২ সালের সেই পুরনো তালিকা নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতেই বেড়েছে আশঙ্কা। সুতরাং, কমিশন তলে তলে যে এসআইআর-এর পথে এগোচ্ছে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তাই কোনও রাখঢাক না রেখে, রাজ্যের মানুষের স্বার্থে বিষয়টি নিয়ে আগেভাগেই সরব হয়েছে রাজ্যের মমতা সরকার।